1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য সুখবর
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন




আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য সুখবর

অনলাইন ডেস্ক:
    আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৫১:৩৩ অপরাহ্ন

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে রাজপথে একক আধিপত্য ধরে রেখেছে দলটি। অবশ্য টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে দলে। তবে এসব অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের মূল্যায়ন করতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, যারা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন অথচ বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে পরিচয় সংকটে ভুগছেন, তাদেরকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রেও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া সুবিধাবাদী বা অনুপ্রবেশকারীরা যেন দলে ঢুকতে না পারে সেজন্য কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করা হবে। বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এগুলো মনিটরিং করবেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জয়গায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ফলে দলের মধ্যে আন্তর্কলহ বেড়ে চলেছে। এটা নিরসনের জন্য কেন্দ্র থেকে নজর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গ্রুপিংয়ের কারণে কিংবা দলভারী করতে কোনো পক্ষ যাতে অনুপ্রবেশকারীদের দলে ভেড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রায়ই ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে জায়গা দিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সুবিধাবাদিদের দলে না ভেড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভালো লোকদের দলে জায়গা করে দিতে হবে। খারাপ লোকদের দল থেকে বের করে দিতে হবে। কমিটি করতে গিয়ে দলে আত্মীয়-স্বজনদের টানবেন না। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোক আনার দরকার নেই। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন।’

আওয়ামী লীগের ত্যাগী, পোড়খাওয়া নেতাকর্মীরা যেন পদবঞ্চিত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে দলটি। এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, কমিটি করার ক্ষেত্রে আমাদের অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আওয়ামী লীগের একজন সংগঠনিক সম্পাদক একটি বিভাগের দায়িত্বে আছেন, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুটি বিভাগের দায়িত্বে আছেন, একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য দুটি বিভাগের বিশেষ দায়িত্বে আছেন। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অবশ্যই কমিটি করার সময়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন এবং সতর্ক থাকবেন যেন কমিটিতে ত্যাগী, পোড় খাওয়া নেতারা যেন পদবঞ্চিত না হয়। তারা পদবঞ্চিত হলে যিনি ওই জেলা বা বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আওয়ামী লীগে যেসব অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি তাদের তালিকা নেত্রী নিজেই তৈরি করে আমাদেরকে দিয়েছেন। প্রত্যেকটি বিভাগীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছে উনি সরবরাহ করেছেন বিগত কাউন্সিলেরও ছয় মাস আগে। উনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি এবং অনেক অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বের করে দিয়েছি। এটা ছিলো নেত্রী সরাসরি নির্দেশ। এই নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে অন্য কোনো অনুপ্রবেশকারী আবার ঢুকতে না পারে এটাও ছিলো উনার নির্দেশ। সেই বিচেনায় খুব বেশি অনুপ্রবেশকারী আছে সেটাও বলতে পারিনা। এতটুকু বলতে পারি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা আমরা কমিয়ে এনেছি। আরও কিছু অনুপ্রবেশকারী আছে কিনা আমরা সেটা দেখছি। যদি থাকে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আমরা বের করে দেবো।

তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে, আবার দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রীর অবস্থান জিরো টলারেন্স। দলের পক্ষ থেকে সেটি অব্যাহত রয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। কোন ধরনের স্বার্থান্বেষী মহল কিংবা আদর্শহীন ব্যক্তিদের দ্বারা আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না হয়, জনপ্রিয়তায় কোনো ধরনের আচড় না পড়ে সে বিষয়টি আমরা সর্বচ্চভাবে সর্বাধিক তাগিত দিয়ে দেখছি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, দলের পরীক্ষিত, সৎ, কমিটেড, যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড মুজিব আদর্শের, আমাদের নেত্রী শেখ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যাদের আস্থা আছে তারাই বিভি কমিটিতে স্থান পাবেন। যারা সমাজে নিন্দিত, দুষ্টচক্র বা যাদের কারণে দল বিব্রত হতে পারে তারা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসতে পারবে না বলে আমরা আশাবাদী।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020