আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এ জরিমানা প্রদান করেছেন। তবে আদালত অবমাননার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে এখনো অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমসের অফিস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বিষয়ে একটি নাগরিক তদন্ত পরিচালনা করছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস। গত সপ্তাহে জেমসের অফিসের একজন আইনজীবী বলেছেন, ‘ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিষ্ঠান—উভয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস বলেছেন, ‘তিন বছরের তদন্তে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ট্রাম্প ও তাঁর কোম্পানি তাদের নির্মিত বিভিন্ন সুউচ্চ ভবন ও গলফ কোর্সের সম্পদের ব্যাপারে এ দশকরেও বেশি সময় ধরে ভুল তথ্য দিয়ে আসছেন।’
তবে জেমসের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জেমসের তদন্তকে ‘বর্ণবাদী’ এবং রাজনৈতিক ‘অভিসন্ধিমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প এই তদন্ত বন্ধ করার জন্য জেমসের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে মামলাও করেছেন।
ম্যানহাটনের একজন বিচারক আর্থার এনগোরন গত ২৫ এপ্রিল ট্রাম্প আদালত অবমাননা করেছেন বলে ঘোষণা দেন এবং তদন্তে অসহযোগিতা ও আদলতে হাজিরা না দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা করেন। পরে ১১ মে তিনি আদালত অবমাননার আদেশ প্রত্যাহার করতে সম্মত হন, যদি ট্রাম্প ২০ মের মধ্যে জরিমানা প্রদান করেন এবং তদন্তে সহযোগিতার জন্য তাঁর কোম্পানির কাগজপত্র জমা দেন।
আর্থার এনগোরন আরও শর্ত দিয়েছিলেন, একটি তৃতীয় পক্ষের ফার্ম ট্রাম্পের কোম্পানির নথিগুলো পর্যালোচনা করবে এবং ২০ মের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। জেমসের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ট্রাম্প আগের শর্ত পূরণ করেছেন, কিন্তু পরেরগুলো করেননি।
এ ব্যাপারে ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাব্বা রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।