শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে ১৬টি ফেরি থাকলেও ঈদ যাত্রায় পাওয়া যাবে মাত্র আটটি ফেরি। ফেরি সংকটে যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা সভাকক্ষে ঈদ উপলক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সভায় জানানো হয়, আরো দুই থেকে তিনটি ফেরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকেই বাস, লঞ্চ বা সি-বোটে উঠতে দেওয়া হবে না।
গতকাল দুপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম জানান, বর্তমানে তাঁদের ফেরির বহরে ১৬টি বিভিন্ন রকম ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রো রো, চারটি কে-টাইপ ও দুটি মিডিয়ার ফেরি ঈদে চলাচল করতে পারবে। তবে এর মধ্যে একটি রো রো ফেরি ডকইয়ার্ডে রয়েছে। স্রোতের প্রতিকূলে ড্রাম্প ফেরিগুলো টিকতে পারে না। ফলে এগুলোর চলাচল বন্ধ। যদি পানির তীব্রতা না কমে তবে এখানে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। বন্যার পানির কারণে গাড়ি পার্কিং নিয়েও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ঘাটে যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ঈদে পদ্মায় কোনো রকম যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করতে দেওয়া হবে না। স্রোতের কারণে ট্রলারডুবির ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের তিন দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে পশুবাহী ও পচনশীল দ্রব্য এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ ও সি-বোটে যাত্রী পারাপারের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকেই বাস, লঞ্চ বা সি-বোটে উঠতে দেওয়া হবে না। কোনো রকম অতিরিক্ত ভাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী উঠালে ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খান মো. নাজমুদ শোয়েব, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ওসমান গণি তালুকদার, লৌহজং নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফাকুন নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান এবং বিআইডাব্লিউটিসি, আইডাব্লিউটিএ, বাস, সি-বোট লঞ্চ মালিক সমিতি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।