সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তারের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ এনে গত শনিবার শাল্লা সচেতন মহলের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা দাবী করেন, হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ ২ লাখ টাকা স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আত্মসাত করেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও করোনা কালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবীদের নামে ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা ১৫ জনের স্বাক্ষর নকল করে বিল উত্তোলন করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাল্লাবাসী। এমনকি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিল ভাউচারে রাজকুমার দাস নামে এক ব্যাক্তির নাম দিয়ে এসব বিল উত্তোলণ করা হয়। কিন্তু রাজকুমার দাস নিজেই জানেনি এই বরাদ্দের কথা। রাজকুমার দাস জানান, আমি কোনো শ্রমিকের কাজ করিনি। আমার নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার বিল উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। এরই প্রতিবাদ জানিয়েছি।
এদিকে রবিবার বেলা ১২ টায় উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ডাক্তার সেলিনা আক্তারের পক্ষে ও শনিবারের মানববন্ধনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন ডা.সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। উনি আসার পর থেকে হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করায় স্থানীয় সুশীল সমাজে উদ্বেগর সৃষ্টি হয়েছে।তারা মনে করছে এর সুষ্ঠু সমাধান না হলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।এবিষয়ে শাল্লা পল্লী বিদ্যুৎ এর সাবেক ডাইরেক্টর আশরাফ মনির বলেন, একটি বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মানববন্ধন এটি আসলেই উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।অন্যতায় যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।