জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেছেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক ও ছেলে এরিক এরশাদ।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে রংপুরের পল্লী নিবাসে এরশাদের সমাধিতে বিদিশা-এরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এরিক অশ্রুসিক্ত চোখে বাবার সমাধিতে চুমু দেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বিদিশা।
এসময় বিদিশা সাংবাদিকদের বলেন, এরশাদের সম্পত্তি গ্রাসের জন্য একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। আমার স্বামীর (এরশাদ) বদৌলতে অনেকেই মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা কেউই খোঁজ রাখেননি। যারা খোঁজ রেখেছেন তাদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুত্র এরিক এরশাদের একমাত্র উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর মাটি দিতে আসতেও তাকে এবং তার পুত্রকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি কবর জিয়ারত করতেও আসতে দেওয়া হয়নি। বিদিশা বলেন, আমি আমার স্বামীর হাতে গড়া জাতীয় পার্টিতে সক্রিয় হতে চাই, তার আদর্শে কাজ করতে চাই।
এরিক এরশাদ বলেন, আমার মা রাজনীতি করুক এটা আমি চাই। আমার বাবা এরশাদ রংপুরের মাটিতে শুয়ে আছে, তাঁর জন্য এবং আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এরিক বলেন, হুমকির কারণে আমি ও আমার মা সব সময় আতঙ্কে থাকি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এরশাদ কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালনামণ্ডলীর সদস্য এরিক এরশাদের আইনি পরামর্শদাতা অ্যাডভোকেট কাজী রুবায়েত হাসান, বিএনএ-এর চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি, ট্রাস্টের প্রেস সচিব ও বিদিশার একান্ত সহকারী সচিব সায়েম সাকলায়েন রাজিব, ডিএনএ-এর মুখপাত্র মোস্তাফিজার রহমান, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে প্রবেশ করেন বিদিশা সিদ্দিক ও এরিক এরশাদ। তারা সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে রূপালি রঙের একটি গাড়িতে চড়ে পল্লী নিবাসে যান।
পল্লী নিবাসে প্রবেশ করেই নিচতলায় এরশাদের ছবিতে চুমু দিয়ে কাঁদতে থাকেন এরিক। এ সময় সাদা রঙের জামদানি শাড়ি পরা বিদিশা তাকে সান্ত্বনা দেন।