1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
ওসমানী বিমানবন্দরে সমস্যা নিরসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডিও
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন




ওসমানী বিমানবন্দরে সমস্যা নিরসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডিও

স্টাফ রিপোর্ট :
    আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩, ৯:৫১:৩০ অপরাহ্ন

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী দুর্ভোগ, আশপাশে জায়গা থাকার পরও অপেমাণ দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষমাণ কক্ষ না থাকাসহ নানান সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগে বিরক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর বর্তমানে বিমান ভাড়া, যাত্রী দুর্ভোগ, কার্গো ফাইট পরিচালনাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে একদিকে যেমন মালামাল পরিবহণ ও যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বিদেশিদের কাছে। এসব সমস্যা নিরসনে বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে আন্তর্জাতিক রুটে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহণ শুরুসহ উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন ড. মোমেন।

গত ২৯ জানুয়ারি তিনি এ চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠির পরিপ্রেেিত বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপরে চেয়ারম্যানের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন বিমান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুল আউয়াল।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে বিমানের সব আন্তর্জাতিক ফাইটে (সিলেট ও চট্টগ্রাম) ডমেস্টিক প্যাসেঞ্জার পরিবহণ বন্ধ আছে। এ কারণে সিলেট থেকে ঢাকা রুটে টিকিটের যেমন সংকট দেখা দিয়েছে, তেমনই যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য। বিমানের লন্ডন ফাইটে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসতে খরচ হয় আনুমানিক ৮০০ পাউন্ড, যেখানে লন্ডন থেকে সিলেট আসতে খরচ হয় এক হাজার পাউন্ড। ঢাকা থেকে সিলেটের দূরত্ব কম হলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে লন্ডন থেকে সিলেট আসতে হচ্ছে। এেেত্র দূরত্ব বিবেচনায় ভাড়ার বৈষম্য দূর করতে পারলে যাত্রীরা সরাসরি সিলেট পর্যন্ত অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও বেশির ভাগ প্যাসেঞ্জার সিলেট নেমে গেলেও ডমেস্টিক যাত্রীদের পরিবহণ না করায় বিমান একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ যাত্রীরা টিকিট সংকটের কারণে চড়া মূল্যে বেসরকারি বিমানের টিকিট সংগ্রহ করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়েছে, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক যাত্রী অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াত করে থাকেন। এই যাত্রীদের আগমন এবং গমনের সময় তাদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ অনেকে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকেন। সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং আশপাশে অনেক জায়গা থাকা সত্ত্বেও অপেক্ষমাণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্নতমানের কোনো আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত অপেক্ষমাণ কক্ষ নেই। এতে যাত্রীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অচিরেই এখানে উন্নতমানের আধুনিক সুবিধাসংবলিত অপেক্ষমাণ কক্ষ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপ সিলেটে এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। সিভিল এভিয়েশন ও বিমান কর্তৃপরে মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের ভেলিডেশন সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সিলেট এবং আশপাশের জেলা থেকে বহির্বিশ্বে সবজি রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে পচনশীল পণ্য রপ্তানির ল্েয ঢাকার শ্যামপুরে যেমন পচনশীল পণ্য প্যাকেজিং হাউজ রয়েছে, অনুরূপভাবে সিলেটেও পচনশীল পণ্য প্যাকেজিং হাউজ নির্মাণ করা হলে সিলেট এবং আশপাশের জেলাগুলো থেকে এসব পণ্য রপ্তানির নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গোতে মালামাল রপ্তানি করা গেলেও তা সরাসরি আমদানি করা যাচ্ছে না। আমদানীকৃত পণ্য ঢাকায় এসে পরে সিলেট যাচ্ছে। সিলেটে কার্গো হ্যান্ডলিং ভবনসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় সরাসরি লন্ডন থেকে সিলেটে কার্গো ইমপোর্ট চালু করা প্রয়োজন। যদিও এর আগেও এই সেবা চালু ছিল।

চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফাইট চালু রয়েছে। কিন্তু সিলেটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও লন্ডন ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফাইট সিলেটে আসে না। অতীতে ফাই দুবাই সরাসরি সিলেটে চলাচল করলেও বর্তমানে তা বন্ধ। পুনরায় এই ধরনের আন্তর্জাতিক ফাইট চালু করা হলে রাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে এবং যাত্রীরাও বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

এরআগে সোনা চোরাচালানের যুক্তি দেখিয়ে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহণ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ আছে। ফলে বাধ্য হয়ে খালি ফাইট নিয়ে এয়ারক্রাফটগুলোকে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মূলত বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ দিতে একটি সিন্ডিকেট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সোনা চোরাচালান আর নিরাপত্তার অজুহাত বড়ো ধরনের যুক্তি হতে পারে না। এটা হলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ফাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়ার কথা। এই রুটেও প্রায় প্রতিদিন ছোটবড় সোনা চোরাচালান হচ্ছে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর লিখিত নির্দেশে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে মার্চ থেকে ফের টিকিট বিক্রি শুরু করলেও সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা না থাকায় এখনো যাত্রী পরিবহণ করতে পারছেন না। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপ বিমানকে জানিয়েছে, এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপরে (বেবিচক) নির্দেশনা লাগবে।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020