মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ৩১ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। জানাযায়,গত ১৮ ফের্রুয়ারী ২০২০ কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে জেলা বিএনপি। ওই আহবায়ক কমিটি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি নেতারা জানান,এই ৮টি ইউনিয়ন কমিটিতে নিজেদের বলয়ের লোকজন স্থান না পাওয়ার কারনে আহবায়ক কমিটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধের কারনে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে মৌলভীবাজারস্থ জেলা কমিটির সভাপতি এম নাসের রহমানের বাসভবনে বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রাহমান চৌধুরী(হাজী মুজিব),জেলা কমিটির সিনিয়র সভাপতি ফজলুল করিম মুহিন,জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্ধ।
ব্যাপক আলাপ-আলোচনা শেষে পূণরায় জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম এ মুকিতকে আহবায়ক ,গোলাম কিবরিয়া শফিকে যুগ্ন আহবায়ক ও অলি আহমদ খানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার ২ দিন পরই ২৩ সেপ্টেম্বর পুনঃগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অলি আহমদ খান সহ ১৪ জন সদস্য এক সাথে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী অপর সদস্যরা হচ্ছেন মোঃ দুরুদ আহমদ,মোঃ সিরাজুল ইসলাম,মোঃ আবুল হোসেন, তোয়াবুর রহমান,আহমুদুর রহমান খোকন,আব্দুল মন্নান, লক্ষি মোহন সিংহ,সফিকুল ইসলাম সুফি, মোঃ আব্দুল মন্নাফ,মোঃ চান মিয়া,মোঃ নজরুল ইসলাম মনির,সবুজ রহমান ও বীর বল।
আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি বলেন, জেলা কমিটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কয়েক জন ছাড়া করোরই রাজনৈতিক পরিচয় নাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন ,পদত্যাগকারীদের অনেকেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে দল থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন। তাই তাদের পদত্যাগে ব্যক্তিগত স্বার্থছাড়া দলে কোন প্রভাব ফেলবে না।
অপরদিকে পদত্যাগকারী আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অলি আহমদ খান বলেন, জেলা কমিটি যাদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি করেছেন তাদের বেশীর ভাগই গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাই তাদের নিয়ে কমিটি গঠন মেনে নিতে পারিনা। তাই পদত্যাগ করেছি।
পদত্যাগকারী আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সদস্য সচিব দুরুদ আহমদ বলেন, গঠিত আহবায়ক কমিটি অনেকেই আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীদের সাথে লিয়াজু রেখে চলেন। তার সাথে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তাই আগামী নির্বাচনে তাদের নিয়ে কাজ করা যাবেনা,তাই পদত্যাগ করেছি। আলাপকালে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,তৃনমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে আহবায়ক কমিটি পুণঃগঠন করে দেয়া হয়েছে।
কারো একক ইচ্ছাধীন মানুষকেই সকল পদ দেয়া সম্ভব নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এতে দলে কোন প্রভাব ফেলবেনা। কমিটির আরো ১৭ জন সদস্য আছেন, তারা নতুন নাম প্রস্তাব করলে তাদের অন্তরভুক্ত করে দেয়া হবে।