কুলাউড়া পৌর এলাকা দিয়ে বয়েচলা মরাগুগালি খালটি ভরাট আর দখলে প্রস্থ কমে সরু নালায় রূপ নিয়েছিলো। বর্ষাকাল আসলেই রাস্তা ও বাসা-বাড়িতে পানি জমে দুর্বিষহ যন্ত্রনায় পড়তেন পৌরবাসী। যারফলে এ-গ্রেড মানের কুলাউড়া পৌরসভার প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিলো বর্ষাকালের জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে নদী খনন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ শুরু হওয়ার ফলে এই মরাগুগালি খালটি প্রাণে ফিরছে। জানা যায়, কুলাউড়া পৌরশহরের পূর্বদিকের রেলওয়ে-জয়পাশা এলাকা থেকে শুরু হয়ে পৌরসভার ৮, ৫, ৪, ও ১ নং ওয়ার্ড হয়ে পাশর্^বর্তী কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রাম-মৈন্তাম এলাকা দিয়ে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মিশেছে মরাগুগালি খাল।
একসময় গুগালি খাল নামে পরিচিত ছিলো এটি। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে কোন রকমের সংস্কার কাজ না হওয়াতে ভরাট আর দখল-দূষণে নৌকা চলাচল করা খালটি মরাগুগালি খালে পরিণত হয়। ভরাট আর দখলে এমন অবস্থা হয়েছিল যে, সেখানে খাল আছে কি না, সেটিও বোঝার উপায় ছিল না। অথচ মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আজ মরাগুগালি খালটি তার স্বরুপে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মরাগুগালি খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম কামরুল ইসলামসহ পৌরসভার সকল কাউন্সিলরবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, খাল উদ্ধার করে পৌর এলাকার জলবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে নদী খনন প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার খাল খনন কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা।
আশা করছি আগামী বর্ষা মৌসুমে পৌর শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী নিরসন হবে এবং মরা গুগালী খালটিও তার হারানো প্রাণ ফিরে পাবে। এছাড়াও আগামী মৌসুম থেকে আশপাশের কৃষকরা বোরো চাষ করতে পারবেন মরা গুগালীর পানি দিয়ে।