1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
কোটাপ্রথায় নতুন শর্ত : শাবিপ্রবিতে বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন




কোটাপ্রথায় নতুন শর্ত : শাবিপ্রবিতে বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
    আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ৯:১৬:৩৯ অপরাহ্ন

‘নীতিমালার পরিবর্তন করে ৩০ নম্বরের পরিবর্তে ৪০ নম্বর ও চাহিদার বিভাগ পেতে সর্বশেষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর থেকে ন্যুনতম ১০ নম্বর কম পেলেই ভর্তির সুযোগ পাবে’ নীতিমালায় এমনই পরিবর্তন নিয়ে আসায় ভর্তি হতে এসে বিপাকে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। তাছাড়া এক ধরণের ভর্তি নির্দেশিকা দিয়ে চুড়ান্ত ভর্তির সময় ভিন্ন নির্দেশিকা অনুসরণ এক ধরণের হয়রানি বলে দাবি একাধিক অভিভাবক ও ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে সকল ধরণের কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ডাকা হয় বলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, মুক্তিযোদ্ধা ২৮টি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/জাতিসত্বা/হরিজন দলিত ২৮টি, চা শ্রমিক ৪টি, পোষ্য ২০টি, প্রতিবন্ধী ১৪টি, বিকেএসপি ৬টি আসন রয়েছে।

এসব আসনে নির্দিষ্টভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসলেও গত ২৬ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় নীতিমালা পরিবর্তন করায় বিপাকে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। নীতিমালায় পরিবর্তন হিসেবে আগে থেকে প্রচলিত পাশ নম্বর ৩০ এর পরিবর্তে ৪০ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাছাড়া কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার বিষয় পেতে সর্বশেষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর থেকে ন্যুনতম ১০ নম্বর কম পেলেই ভর্তির সুযোগ পাবে বলে নতুন এ নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন এ শর্ত যুক্ত করায় কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকে ডাকা হলেও অনেকে ভর্তি হতে পারছে না। অন্যান্য কোটায় ভর্তিচ্ছুসহ পোষ্য কোটায় ভর্তিচ্ছুরা এ নীতিমালার কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। সন্তানকে ভর্তি করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী বলেন, ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের সময় ৩০ নম্বরের শর্ত দেয়া হয়েছিলো। তাছাড়া বিভাগে সর্বশেষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর থেকে ন্যুনতম ১০ নম্বর কম হলে ভর্তি হতে পারবে না এমন কোনো শর্ত ছিলো না। হটাৎ করেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা একধরণের হয়রানি। বাচ্চাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারবে।

এমনকি অন্যান্য কোটায় ভর্তি হতে এসেও পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে হলে বিভাগে সর্বশেষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর থেকে ন্যুনতম ১০ নম্বরের বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। তাছাড়া পূর্বে সাধারণ কোটায় ভর্তি না হওয়াই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক শিক্ষার্থী ভর্তিতে নানা ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হতে এসেও ভর্তি হতে না পেরে ফিরে গেছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন, চলমান ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন করে নীতিমালা বাস্তবায়ন করা ঠিক হয় নি। এতে ভোগান্তি বেড়ছে, জটিলতা বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা যায়। যারা ভর্তি হতে পারছে না তাদের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি। তবে সাংবাদিকদেরকে ড. রাশেদ তালুকদার জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরী সভায় ২০১৪ সালের পোষ্য কোটা বিধিমালায় পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। এতে অবসরোত্তর ৫ বছর পর্যন্ত ও মরণোত্তর অবসরের সময়সীমা পর্যন্ত পোষ্য কোটা সুবিধা রাখা হয়েছে। তাছাড়া পূর্ব প্রকাশিত সার্কুলার অনুযায়ি কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশ নম্বর ৩০ রাখা হলেও নীতিমালার আলোকে ৪০ নম্বর করা হয়েছে। নতুন সংযোজন হিসেবে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে হলে বিভাগে সর্বশেষ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর থেকে ন্যুনতম ১০ নম্বর কম হলে ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020