সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বেড়েছে অনেক। প্রতিদিনই বহুলোক আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামে। পরিবারের একজন আক্রান্ত হওয়ার পর এক বা দুই দিনের মধ্যে একাধিক জনকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে চোখের যেসব রোগবালাই হয়ে থাকে তারমধ্যে একটি হচ্ছে চোখ ওঠা। এটি আসলে একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। কনজাংটিভাইটিস বা চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা বলে।ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায় ঠিক,কিন্তু আশপাশে অনেককেই আক্রান্ত করে বা করতে পারে। কারও চোখ ওঠা হয়তো তিন দিনে ভালো হয়ে যায়, কারোর আবার ৩ সপ্তাহ লাগতে পারে। সেটা নির্ভর করে কাকে কী ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করেছে এবং সেই রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন তার ওপর।
গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।
জানা যায়, উপজেলার বনপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোটবোন সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া রুপা বেগমের চোখ ওঠা রোগ হয়। এখন মামুনও এ রোগে আক্রান্ত। নাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, স্কুলের প্রায় তিরিশজন শিক্ষার্থী,শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম এবং তিনি নিজেও চোখ ওঠায় আক্রান্ত হয়েছেন। শিশুসহ তাঁর পরিবারেরও সবাই আক্রান্ত। কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম বলেন,কোম্পানীগঞ্জে চোখ উঠার প্রকোপ বেড়েছে। ভাইরাসজনিত এ রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।
রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, এ সময়ে বহুলোক চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিনই প্রায় একশ রোগী আসেন। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় যথাসম্ভব আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে না থাকার পরামর্শ দেন তিনি