ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী একটি বাস ঢুকে যায় পেট্রোল পাম্পে। এতে বাসে থাকা যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন ১৫ জন। দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় পেট্রোল পাম্পের একটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের তেলিখাল পেট্রোল পাম্পে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহতেরা হলেন শাহিন, সোহরাব, সৃজন, রিদিষা, আনোয়ার আলী, সুমি আক্তার, শেখ জিয়াউল, রতন, রুহুল আমিন, শেখ আহুরা, আকবর আলী, মনির হোসেন ও আমিন। গুরুতর আহত সুমি আক্তার (৩০)কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাসের যাত্রী, পুলিশ ও স্থানীরা জানান, দুপুরে সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জগামী সাদা পাথর পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি মহাসড়কের তেলিখাল এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি রাস্তার পাশের একটি পেট্রল পাম্পের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। খুঁটির কারণে বাসটি খাদে পড়েনি। এতে বাসের যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তবে দুর্ঘটনায় বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। পাম্পের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
পাম্প মেশিনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণের রক্ষা পান বাসে থাকা যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাসের যাত্রী আরাফাত হোসেন বলেন,একই দিক থেকে আসা একটি ট্রাক পাম্পে ঢুকতে চেয়েছিল। এর জন্য ট্রাকের চালক সিগন্যাল দেন, কিন্তু বাসচালক হয়তো সিগন্যাল খেয়াল করেননি। ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের উপক্রম হলে বাসচালক যাত্রীদের নিয়ে পাম্পে ঢুকে যান। বাসটি খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, বাসটি পাম্পের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা না খেলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। ভাগ্যক্রমে যাত্রীরা বেঁচে গেছেন।