ক্যাম্পাসে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শাবিপ্রবিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা থেকে এই সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা থেকেই ক্যাম্পাসে পানি প্রবেশ করতে থাকে। শুক্রবার (১৭) জুন পানি আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন শাবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২৫ জুন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল শিক্ষার্থীদের প্রকার সহযোগীতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটে ফের হানা দিয়েছে বন্যা। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্লাবিত হলো সিলেট অঞ্চল। প্রথমবারের বন্যায় তলিয়ে যায় কৃষকদের বছরের একমাত্র অবলম্বন বোর ফসল। অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মানের ফলে শেষ রক্ষা হয়নি কৃষকদের। দ্বিতীয়বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শোকাতে পারেন নি ক্ষেতের কাঁচা-পাকা ধান। ফলে গোলায় তোলা হয়নি ঘাম ঝড়ানো সোনালী ফসল। ফসল ক্ষতি,বাড়ি-ঘর, গবাদি-পশু হারিয়ে যাওয়ার ক্ষত এখনও শুকিয়ে যায় নি তাদের। আর তৃতীয় ধাপে বানের জলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢে ইতোমধ্যে সুরমা, পিয়াইন ও কুশিয়ারাসহ জেলার সব নদীর পানি বেড়েছে। নদীর পানি উপচে সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হু হু করে পানি বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। পানিতে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডুবে গেছে।