বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খাদিম চা-বাগান আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে বিজয় দিবস স্কুল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। খাদিম চা-বাগান আঞ্চলিক শাখার আহবায়ক সুব্রত ঘোষের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক রোকসানা বেগম মুন্নির পরিচালনায় এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. বেদানন্দ ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিলেট জেলা সংসদের আহবায়ক মনীষা ওয়াহিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা এড. আনোয়ার হোসেন সুমন, খায়রুল হাছান, তুহিন কান্তি ধর, বিধান দেব চয়ন প্রমুখ।
শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে আটটি ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিচালনা করেন খাদিম চা-বাগানের শিক্ষার্থী বন্ধুরা। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের বন্ধু মাশরুখ জলিল এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহযোদ্ধা সন্দ্বীপ দেব। প্রতিযোগিতা শেষে সবার হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গেলেই চা-বাগানের কথা মনে পরে যায়। তুলনামূলক দূর্গম হওয়ায় বাগানে বাগানে ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি। অনেক চা-শ্রমিকরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। আজকের দিনে সেসব চা-শ্রমিক সহযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে স্মরণ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে খাদিম চা-বাগান আঞ্চলিক শাখার আহবায়ক সুব্রত ঘোষ বলেন, চা-বাগানের শিক্ষার্থীদের জীবনে আনন্দ-উৎসবের উপলক্ষ খুব কমই আসে। শিক্ষার্জনের ন্যুনতম সুযোগ অধিকাংশ বাগানেই নেই। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আপামর জনসাধারণের মতো চা-শ্রমিকরাও সম অধিকারের স্বপ্ন নিয়েই অংশগ্রহণ করেছিলেন। সে স্বপ্ন এখনো স্বপ্নই থেকে গেছে। সম অধিকার, সম মর্যাদার জীবন আমরা, চা বাগানের শিক্ষার্থীরা তাই লড়াইয়ের ময়দানেই আদায় করে ছাড়বো। আগামীর বিজয় উৎসব হবে সবার জন্য সমান আনন্দের।