এবারের উপ-নির্বাচনে সব থেকে বেশি আলোচিত প্রার্থী বগুড়া- ৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন হবিগঞ্জের এক শিক্ষক। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাড়ি দেয়ার কথা বলে ভাইরাল হওয়া ঐ শিক্ষক তালবাহানা শুরু করেছে। এমনটাই জানায় হিরো আলমের সহকারী শুভ ইসলাম।
গত মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাই-স্কুলের অধ্যক্ষ এম মুখলেছুর রহমান তার নিজ ফেসবুক আইডি ‘প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমান’ থেকে ঘোষণা দেন তার ব্যবহৃত নোহা গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দেবেন।
নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে তিন মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, নিজেকে ফেইসবুকে ভাইরাল করার জন্য তিনি এমন পোস্ট করেছেন।
ওই শিক্ষক শুক্রবার (০৩ ফেব্রুযারি) দুপুর ২টার দিকে আবারও তার ফেসবুক থেকে ঘোষণা দেন, ‘আজ দুপুর ১২টায় হিরো আলমের সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে আসবেন নোহা গাড়িটি নেওয়ার জন্য।’
মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার নোহা গাড়িটি তাকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। আমি সিলেটবাসীকে কলঙ্কিত করব না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে বলছি, ফালতু ওয়াদা আমি করি না। ওয়াদা অনুযায়ী আমি গাড়িটির কাগজপত্র করে চিরতরে তাকে উপহার দেব।’
তবে এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, তার সহকারীর সঙ্গে এম মুখলেছুর রহমানের ফোনে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন তার গাড়িটি নষ্ট। তার পেজটি তোলার (ভাইরাল) জন্য এমন ভিডিও করেছেন। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্যও অনুরোধ করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় হিরো আলমের সহকারী শুভ ইসলাম বলেন, আলম মুখলেছুর নামের ঐ ব্যক্তি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত কেআর ৪৭ একটি নোহা গাড়ি আলম ভাইকে দিতে চায়। কিন্তু তার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলেন আলম ভাইকে ভাইরাল করতে ও আমার পেইজটির ফলোয়ার বারানো জন্য এটি করছি।
শুভ আরো বলেন, আলম ভাইয়ের কাছে শুনলান সে নাকি নির্বাচনের কথা বলে সিলেটের মানুষের কাছে থেকে টাকাও তুলেছে। এই বিষয়ে ঢাকার কোন এক উকিল নাকি তার নামে মামলাও করেছে যে, যদি নিজের দেয়া ওয়াদা পালন না করে তাহলে জেলে ঢুকানো হবে।
হিরো আলম আরো বলেন, ‘ওই শিক্ষক আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমাকে গাড়ি উপহার না দিলে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করব।’