চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, ভূমির অধিকারসহ সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির প্রথম বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (২২ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক খাদিম চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সবুজ তাঁতী। চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমণ্বয়ক এস এম শুভ এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, খায়রুল হাছান, কমিটির সদস্য এবং মুমিনছড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি লিটন মৃধা, ডালুছড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বর্মা মৃধা, বোরহাননগর চা-বাগানের শ্রমিক ঠাকুর রাজোয়ার, রাজানগর চা-বাগানের শ্রমিক নেতা পূরণ ওরাং, কালিটী চা বাগানের বাগানের শ্রমিক নেতা কৃষ্ণ দাস অলমিক, রত্না চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সুমন ঘোষ, চা-শ্রমিকের দশ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি কুলাউড়া উপজেলার আহবায়ক বিশ্বজিত দাস, চা-শ্রমিকের দশ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য জিতেন ভৌমিক, সদস্য রাসেল আহমেদ, করিমপুর চা-বাগানের শ্রমিক বিমল বাগতি, লালচান্দ বাগানের শ্রমিক নেতা বকুল ভৌমিক, চা-বাগানের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সংগঠক প্রণব কুমার দেব, সংগঠক মনীষা ওয়াহিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চা-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে মালিকপক্ষ ক্রমাগত তালবাহানা করে যাচ্ছে। দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে চা-শ্রমিকরা তাদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এটি খুবই দুঃখজনক এবং অমানবিক ঘটনা যে আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি এরকম অস্বাভাবিক কম মজুরিও মালিকপক্ষ দিতে রাজি না। শ্রমিকের শ্রম এবং ঘামের ফসল মালিকরা ঘরে তুললেও বকেয়া মজুরি পরিশোধ নিয়ে ক্রমাগত তালবাহানা করে যাচ্ছে। বক্তারা এই সভার মাধ্যমে পাওনা বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা, ভূমির অধিকার, চা-শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষার অধিকার, শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা এবং ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ শ্রমের পরিবেশের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন,প্রাপ্য থেকে কম কিংবা অর্ধেক বকেয়া মজুরি দেয়ার কোন ধরনের পায়তারা, ষড়যন্ত্র হলে শ্রমিকরা তার সমুচিত জবাব দিবেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে বাগানে বাগানে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।