1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
জামায়াত : একের ভিতরে তিন
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন




জামায়াত : একের ভিতরে তিন

দেবব্রত রায় দিপন
    আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:২২:০৫ অপরাহ্ন

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ছে সিলেট অঞ্চলে। ইতোমধ্যে গেল মাসের ৯ নভেম্বর জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। এর চারদিন পর গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. শফিকুর রহমান। পিতা-পুত্রের গ্রেপ্তার পরবর্তী সিলেট অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রম এবং সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনায়। অপর জঙ্গি সংগঠনের নাম জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। ডা. রাফাত চৌধুরী গ্রেপ্তারের আরও আগে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জড়িয়ে ট্রেনিং ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য সিলেট থেকে হিজরত করা তিন জঙ্গি সদস্যকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছেলে রাফাত চৌধুরী ও পিতা জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির ডা. শফিকুর রহমান গ্রেপ্তার পরবর্তী সিলেট অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রমের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ হতে থাকে। সিলেট থেকে জঙ্গি কার্যক্রম প্রশিক্ষণ এবং সম্পৃক্তার অংশ হিসেবে প্রথমেই একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে টার্গেট অনুযায়ী মাদরাসা পড়ুয়া ও বেকার একটি অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে মাইন্ডওয়াশ করে প্রস্তুত করা হয়। এরপর শুরু হয় হিজরত। হিজরতীদের নেওয়া হয় দুর্গম অঞ্চলে। সেখানে দিনের পর দিন চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এই কার্যক্রমে সকল প্রকার পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর উপর।

এই কার্যক্রমে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন এবি পার্টি ও বিডিপি নামের আরও দুটি সংগঠনেরও সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিলেটের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামায়াত ইসলামী জাতীয় রাজনীতিতে নীরব থাকলেও থেমে ছিল না তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলেও টেনশন ফ্রি এই সংগঠন। নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেই এবি পার্টি এবং বিডিপি নামের দুটি সংগঠন নিয়ে চলছে এই সংগঠনের কার্যক্রম। সংস্কার তকমা লাগিয়ে গঠন করা হয় এবি পার্টি।

একই ভাবে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিডিপি নামের আরও একটি সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠন। মোট কথা, বিডিপি ও এবি পার্টিকে নিয়ে ত্রি-ইন ওয়ান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে এবি পার্টি এবং বিডিপির সিলেট জেলার নেতারা পরস্পরকে জামায়াতের সহযোগী বলে দোষারোপ করছেন।

বিডিপি, এবি পার্টি, আনসার আল ইসলাম ও ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর সাংগঠনিক আদর্শ এবং নামকরণে ভিন্নতা থাকলেও মূলত জামায়াতের হাতেই নিয়ন্ত্রণ বাকি সবকটি সংগঠনের। বিডিপি এবং এবি পার্টি সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে এমন তথ্যই জানা গেছে।

এবি পার্টি ও বিডিপির সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় দুটি সংগঠনের সাথে যুক্ত সকলেই জাময়াত-শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতা। আদর্শিক ভাবে দুটি সংগঠনের সাথে জামায়তের কিছুটা অমিল থাকলেও দুটি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জামায়াতের হাতেই। যদিও বিষয়টির সাথে দ্বিমত প্রকাশ এবি পার্টির সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকেট নাজমুল ইসলামের।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে মুক্তির জন্য জামায়াতের তরুণ প্রজন্মের একটি তাগিদ ছিল। সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাময়াত থেকে সংস্কার পন্থীদের নিয়ে তিন বছর আগে এবি পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। জামায়াতে ইসলামকে ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াত এবং এবি পার্টিকে একই বৃন্তের কুসুম বলাটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হবে না। কারণ জামায়াত যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠন।’

তিনি বলেন, সিলেটে ২০২১ সালে জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনের পর থেকে এবি পার্টি তাদের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতের কার্যক্রম চালিয়ে প্রমাণ করেছে এবি পার্টি দেশবান্ধব একটি রাজনৈতিক সংগঠন।

জামায়াতের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জেলা সভাপতি এডভোকেট নাজমুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলাম থেকেই যেহেতু এবি পার্টি, সেহেতু সংস্কারপন্থী জামায়াতের অংশগ্রহণ এখানে থাকাটাই বাঞ্চনীয়। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলাম ছাড়াও ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থান রয়েছে এবি পার্টিতে।

বিডিবির সঙ্গে জামায়াত কিংবা এবি পার্টির মিল-অমিল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিডিপির উত্থান। এই দলের তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম না থাকলেও ৫০০০ পৃষ্ঠার কাগজ সম্বলিত বই জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। মূলত জামায়াত ইসলামের হয়েই এই সংগঠন রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে চায়।

সংগঠনের মহানগর কমিটির আহবায়ক ওমর ফারুক বলেন, কল্যানকামী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেই পথ চলা এবি পার্টির। ইসলামকে রাজনৈতিক সিঁড়ির হাতিয়ার নয় বরং ধর্মীয় অনুশাসন সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে সকল মানুষের রাষ্ট্র গঠন চায় এবি পার্টি।

অপরদিকে জামায়াত ইসলাম থেকে একটি অংশ যুক্ত হয়েছেন বিডিবিতে। জামায়াতে ইসলামীর নেতারাই সিলেটে ঠিক করে দিয়েছেন কমিটি। কমিটিতে স্থান পাওয়া সবাই আছেন জামায়াত ও শিবিরের সক্রিয় দায়িত্বে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এবি পার্টির সাথে জামায়াতের দ্বন্দের কারনেই বিডিপিকে তড়িঘড়ি করে সামনে নিয়ে এসেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জামায়াত আমীর শফিকুর রহমান জামায়াতের সংস্কারপন্থি গ্রুপ থেকেই আমীর হয়েছেন বলে সূত্র জানায়। ফলে জামায়াত ছয় বছর পূর্বে গঠিত বিডিপিকে সামনে নিয়ে আসে।

সংগঠনটির জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন খান বলেন, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হলে স্বাভাবিক ভাবে আদর্শগত কারণে কিংবা রাজনৈতিক সুবিধার কারণে অন্যান্য দলের লোকজন আসবে-এটা খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং বিষয়টিকে জামায়াতের কৌশল বলা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। পথ ও পথের ভিন্নতায় জন্ম নেয় সংগঠন। বিডিপি সেই মত ও পথ নিয়েই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবি পার্টির বিষয়ে তিনি বলেন, জামায়াত থেকেই এবি পার্টির জন্ম। সুতরাং জামায়াত বিষয়ে এবি পার্টি কি প্রতিক্রিয়া দেখালো, সেটিকে আমরা কখনোই বিবেচনায় রাখি না।

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, সামনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেহেতু জামায়াতে ইসলাম যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল গন্য হলে বিকল্প পথেই হাঁটতে পারে জামায়াত। এবং ইতোমধ্যে আরও দুটি সংগঠনকে এস্টাবলিশ করার সক্ষমতাও তৈরি করে রেখেছে এই সংগঠন।

তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে, এবি এবং বিডিবির রাজনৈতিক তৎপরতা, জামায়াতের সাথে সখ্যতা সর্বোপরি সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনায় রেখে নিবন্ধন কার্যক্রম সুনিশ্চিত করা। জঙ্গি সংগঠন বিষয়ে এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, শিবির কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে প্রকাশ্যে আসতে না পেরে বিভিন্ন্ পন্থায় কার্যক্রম চালাতে মরিয়া হয়ে উঠছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথের বাড়ছে শিবিরের সম্পৃক্ততা। সুতরাং জঙ্গি সংগঠনগুলোর অর্থের উৎস বিষয়ে তদারকি বাড়াতে পারলেই সবকিছই খোলাসা হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রুহুল কুদ্দুস বাবুল বলেন, র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের নাম- জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। পাহাড়ের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠির সঙ্গে যুথবদ্ধ হয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল তারা। এমন তথ্য নিঃসন্দেহে বিপদজনক। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনি জামায়াতে ইসলামীর সাথে এর সংশ্লিষ্টতাও পেয়েছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে রাজনীতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক মদদ আশ্রয় প্রশ্রয় ছাড়া কখনও জঙ্গিরা সংগঠিত হতে পারে না।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন আখ্যায়িত করে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করতে বলেছে। রাজনীতি এবং আইনের মারপ্যাঁচে তারা এখনও নিষিদ্ধ হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে। দল নিষিদ্ধের বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা জোট মিত্র বিএনপির নির্বাচানি প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছে।

নির্বাচনের পর জামায়াত এবং সাবেক শিবির নেতাদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছে রাজনৈতিক দল এবি পার্টি। বর্তমানে আরেকটি পার্টি গঠন করে নিবন্ধনের চেষ্টা করছে। এই পার্টি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করেছে।জামায়াতের কৌশল হলো- নিবন্ধন নিতে তাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ সামনে আসবে না। দলের পদ পদবীতেও থাকবে না। অপরিচিতদের সামনে রেখে নিবন্ধনটি করিয়ে নিতে পারলে তারপর সময় বুঝে দলের হাল ধরবেন তারা।

উদ্বেগের কথা নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘শর্ত পূরণ করে তারা (জামায়াত) ভিন্ন নামে এলে এবং তাদের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, তাহলে নিবন্ধন পেতে বাধা নেই’। যা করার সরকারকেই করতে হবে। অগণতান্ত্রিক মানসিকতায় ক্ষমতাপাগল রাজনীতির প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ে স্বাধীনতাবিরুধী সকল অপশক্তি মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। যা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ভয়ংকরভাবে আঘাত করতে পারে।

জেলা জামায়াতের আমির (উত্তর) হাফিজ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘তিনে মিলে এক জামায়াত’-এমন মন্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো উত্তর নেই। এই উত্তর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দিতে পারেন। জামায়াত আমিরের ছেলে গ্রেপ্তার বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের সাথে জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা থাকতে পারে না। সুতরাং এই বিষয়ের সাথে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টিও যায় না। জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জামায়াতের যোগসূত্র রয়েছে-এমন প্রমাণিত সত্য এখনও পাওয়া যায় নি বলেও দাবি করেন তিনি।

জামায়াতে ইসলাম, এবি পার্টি ও বিডিপি কে একই মুদ্রার এপিট-ওপিট উল্লেখ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে সবচাইতে সুসংগঠিত দল হচ্ছে জামায়াত। সুতরাং যুদ্ধাপরাধের দায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল হলেও পরিকল্পিত রাজনীতিতে এই সংগঠনকে বেকায়দায় পড়তে হবে না।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ও বিডিপিকে এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে এস্টাবলিশ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত। তিনি ধর্মভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল এই রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর জঙ্গি কানেকশনের বিষয়ে কড়া নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিবন্ধন প্রদানের ক্ষেত্রে সজাগ থাকার আহবান জানান।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, সিলেট কখনোই জঙ্গিবাদের আস্তানা করা অসম্ভব। কারণ, এন্টি টেরিরিজম এবং এসএমপি একই সাথে জঙ্গিবাদ রুধে কাজ করছে একই সাথে। যে কারণে সিলেট থেকেই জামায়াতের আমিরের ছেলে রাফাতকে গ্রেপ্তার করাও সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ওই রায়ের পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়। সে সময় তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো: আলমগীর জানিয়েছিলেন, শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে জামায়াত ইসির নিবন্ধন পেতে পারে।

তিনি বলেন, জামায়াতের কেউ যদি যুদ্ধাপরাধী না হয় এবং তাদের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়, তাহলে শর্ত পূরণ করে ভিন্ন নামে তাদের নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা নেই। তবে একই নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ইউটান দিয়ে এখন বলছেন জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্টাতাহীন ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে যদি ভিন্ন নামে দল গঠন করে তাতে নির্বাচন কমিশনের কোন আপত্তি নাই।

ঠিক তখনই নির্বাচন কমিশনে জামায়াত সংশ্লিষ্ট লোক বাংলাদেশ ডেভেলপম্যান্ট পার্টি নামের নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন পত্র নিয়ে হাজির। জামায়াত বলছে তাদেন নিবন্ধনের এখনো চুড়ান্ত ফয়সালা মূলক রায় হয়নি। তাই জামায়াত এখনো আছে। অপরদিকে বিডিপি প্রধান বলছে জামায়াতের সাথে তাদের কোন রকম সম্পর্ক নাই।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020