আলোচনায় থাকলেও শেষ সময়ে এসে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেননি আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বৃহস্পতিবার দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদান শেষে ৪ নেতার নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই তালিকায় নাম নেই মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের। তবে নেতাকর্মীদের ধারণা দল হয়তো সাবেক ডাকসাইটে এই নেতাকে অন্য কোনো বড় পদে মূল্যায়ন করার চিন্তা ভাবনা করছে। সে কারণে শেষ সময়ে কেন্দ্রের ইশারায় তিনি এমনটি করে থাকতে পারেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ঘনিষ্ট একটি সূত্র।
অন্যদিকে মনোনয়ন সংগ্রহ কিংবা জমাদান করেন নি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীও। তাঁর ঘনিষ্টজনরা বলছেন, তিনি সিলেট-২ আসন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বেশি আগ্রহী।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সমর্থন দিয়ে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন নি দলের অপর হেভিওয়েট নেতা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) শেষ দিন পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদান করেছেন, তারা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী ও বর্তমান প্রশাসক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়াম লীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঘোষিত নিবাচনী তফসীল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর। ষষ্ঠতম কমিশন সভা শেষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা দেন।