বিয়ের চাপ দিচ্ছিল পরিবার, হতাশায় ডেন্টাল কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা ভারতের কলকাতার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে,বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ডেন্টাল কলেজের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাঁকে বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিয়ে করতে চাইছিলেন না। তা নিয়ে মানসী মণ্ডলের সঙ্গে পরিবারের বিবাদ লেগেই ছিল।
মনোমালিন্যের ফলে তৈরি হচ্ছিল মানসিক দূরত্ব। তাই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। ঘটনার তদন্ত করছে এন্টালি থানার পুলিশ।জানা যায়, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ছিলেন মানসী মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পরে ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারির জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স করতে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে সুযোগ পান। এখানেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি- অর্থাৎ পিজিটি হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন। তিনজনের সঙ্গে হোস্টেলে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ রুমমেটকে ফোন করেন মানসী। জানান একটু পরে কলেজে যাবেন তিনি। তবে বেলা ১টা বেজে গেলেও কলেজে যাননি মানসী।
এরই মধ্যে মোট ছয়বার বাড়ি থেকে ফোন আসে তাঁর।তবে কোনোবারই ফোন ধরেননি।তাই বাধ্য হয়ে রুমমেটকে ফোন করেন মানসীর বাড়ির লোকজন।এই বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে হোস্টেল সুপারকে জানান মানসীর রুমমেট। ঘরের সামনে গিয়ে তাঁরা দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও মানসীর সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান।
খবর দেওয়া হয় এন্টালি থানায়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে হোস্টেলের ওই ঘরের মধ্যে ঢোকে। মানসীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সবাই। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মানসীর দুটি মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে বিয়ে নিয়ে পারিবারিক টানাপড়েনে মানসিক অবসাদের কথার উল্লেখ ছিল।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।