সোমবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের প্রতি শ্রদ্ধা।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলের নেতাসহ বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষ হয়। বেলা তিনটায় গাইবান্ধার সাঘাঁটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হবে। গাইবান্ধায় জানাজা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। মরদেহ সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছেছে।
এর আগে মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আনা হয়। সকাল পৌনে নয়টায় ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে তার মরদেহ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়জার রহমান ও মায়ের নাম হামিদুন নেছা।