সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি আবার কোথায়ও অবনতি ঘটেছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ডুবে গেছে। ব্রিজ ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৭ উপজেলার কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই সরকারি আশ্রয় শিবিরে উঠেছেন। আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। কাটা ধান শেষ হলেও গোখাদ্য পচে নষ্ট হচ্ছে। বানভাসিদের কষ্টের শেষ নেই। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উৎসস্থলের একটি ‘ডাইক’ ভেঙে গেছে। প্রবল বেগে পানি ঢুকে জকিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব হোম দাস জানান, ডাইকটি ভেঙে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। এতে নতুন করে উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ডাইকটি ভেঙে যাওয়ায় সিলেটের অন্য উপজেলায়ও পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। এর প্রভাব বেশি পড়বে কুশিয়ারা অববাহিকায়।
জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে অমলশিদ যাতায়াতের রাস্তাটিও ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বরাক নদীর পানি এখন প্রবল বেগে সুরমা ও কুশিয়ারায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বিশুদ্ধ পানির অভাবে জলবন্দী মানুষ দারুণ কষ্টে রয়েছে। সিলেটের নদী তীরবর্তী উপশহরসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার মানুষ বহুতল ভবন ছেড়ে স্বজনদের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। একদিকে ঘরের ভিতর হাঁটু পানি। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।