দোয়ারাবাজারে নিরীহ পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখল করার পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের শ্যামলবাজারের নিকটবর্তী ৫০ শতাংশ আমন রকম ভূমির পৈতৃক সূত্রে মালিক ও ভোগদখল করে আসছেন মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত ধরনী কুমার দাসের পুত্র নিপেন্দ্র দাস। এই ৫০ শতাংশ ভূমি ভুল ক্রমে সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় চলে যাওয়ায় মালিক পক্ষ সম্পত্তি প্রত্যার্পনের জন্য আদালতে মোকদ্দমা করেন (মোকদ্দমা নম্বর ৯১৭/২০১২)। মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও একই ইউনিয়নের ইদনপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে রহিমা বেগম (মায়া) ২ শতক ভূমি বিধি বহির্ভুত পন্থায় বন্দোবস্ত নেন। এখন নিকটবর্তী জমিও দখল করার পায়তারা করছেন রহিমা বেগম।
স্থানীয় শ্যামলবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নূরউদ্দিন বলেন, বিগত ষাট বছর ধরে দেখে আসতেছি নৃপেন্দ্র দাস পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ভোগদখল করে আসছেন। রহিমা বেগম মায়া কিভাবে এই সম্পত্তির বন্দোবস্ত পেল তা আমাদের জানা নেই। এখন আরও জমি জবরদখল করবার পায়তারা করছে। ওই মহিলা একজন উশৃঙ্খল প্রকৃতির। এলাকায় সুদি কারবারি হিসেবে পরিচিত।
বাজিতপুর গ্রামের বিশিষ্ট শালিস ব্যক্তিত্ব আবদুল মতিন বলেন, মায়া অন্যায়ভাবে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি জবরদখল করতে চাচ্ছে। মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও অন্যের জমি কিভাবে বন্দোবস্ত পেল তা বুঝতে পারছি না।
ইদনপুর গ্রামের সালিশ ব্যক্তিত্ব নজির হোসেন বলেন, নৃপেন্দ্র কুমার দাস এলাকার নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। তাদের সম্পত্তি রহিমা বেগম ওরফে মায়া কিভাবে বন্দোবস্ত নেয় তা আমাদের প্রশ্ন। এ নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার নেই।
অভিযোক্ত রহিমা বেগম (মায়া) বলেন, এর আগে আমি ২ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত এনে বাচ্চা কাচ্ছা নিয়ে থাকার জন্য একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেছি। গত এক সপ্তাহ পুর্বে আমার দখলিয় জায়গায় ইদনপুর গ্রামের প্রভাবশালী নজির হোসেন ড্রেজার বসিয়ে বালু ফেলে ভরাট করে ভিটা তৈরি করতে চাইলে আমি তাতে বাঁধা দেই এবং এসিল্যান্ড স্যারকে ফোন করে অবৈধ ভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে ভিটে তৈরি করার বিষয়টি জানাই। পরে এডিল্যান্ড স্যার তার বালু ভরাট কাজ বন্ধ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফায়সাল আহমদ বলেন, অর্পিত সম্পত্তির দখলদার কেউ বন্দোবস্ত চাইলে আমরা দিতে পারি। অভিযোগের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে