চার মাস আগে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল গৃহবধূ। হঠাৎই একদিন প্রেমিককে নিয়ে ফিরে আসেন তিনি। এরপর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেন ওই গৃহবধূ। ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার শিশুবাগান এলাকায়। ওই গৃহবধূকে আটক করতে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী।
খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম মুক্তি মালাকার সাহা। গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বছর চারেক আগে শিশুবাগান এলাকার বাসিন্দা শংকর সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ওই দম্পতির এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাস চারেক আগে হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান ওই নারী। অনেক খোঁজ খবর করেও মুক্তির হদিস মেলেনি। এরপর সোমবার সকালে আচমকা শ্বশুরবাড়ি হাজির হন মুক্তি। সঙ্গে ছিলেন এক যুবক। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তি। সেই সময় শংকরের মা একা বাড়িতে ছিলেন। মুক্তি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আচমকাই তার মুখে রুমাল চেপে ধরেন। এরপর আর কিছু জানা নেই শংকরের মা মিনাদেবীর। ঘণ্টাখানেক বাদে দেখেন, বউমা ও তার সঙ্গে আসা যুবক কেউই ঘরে নেই। আলমারি ভাঙা, শোকেস খোলা, কোনো সোনার গয়নাও নেই ঘরে। এরপরই ছেলেদের ফোন করেন বৃদ্ধা।
সাহা পরিবারের দাবি, মুক্তি নিজের সন্তানের গয়নাও নিয়ে গেছেন। যাওয়ার সময় একটি ছোট ব্যাগ ফেলে গেছে। মুক্তির স্বামী শংকর সাহা বলেন, আমার স্ত্রী চার মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিন ওর সঙ্গে যে ছেলেটি এসেছিল সে একটি ব্যাগ ফেলে গেছে। জানা গেছে ওই ব্যাগে বিভিন্ন নথিপত্রের জেরক্স কপি রয়েছে। আমরা গরীব মানুষ। অনেক কষ্ট করে তৈরি করা গহনা ও জমানো প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এদিকে, বনগাঁ থানার পুলিশ এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।