শাল্লা উপজেলার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা ২য় বারের মতো স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন পদে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পূর্বঘোষিত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) এর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী চয়নিকা তালুকদার। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ ২৫ অক্টোবরের পরীক্ষা স্থগিত করেন। পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা করা হয় ৩ ডিসেম্বর। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী বেশিরভাগ প্রার্থীর অভিযোগ মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে প্রার্থী আগেই নির্বাচন করেছে নিয়োগ কমিটির সদস্যরা।
পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থী সুজন দাস জানান, মেধা তালিকায় প্রার্থী নির্বাচন করা হয়নি। ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার পর কোনো প্রশ্নও করা হয়নি। তাহলে মেধা তালিকা যাচাই করা হবে কি ভাবে? এটা শুধু নিয়ম রক্ষার পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। প্রার্থী তারা আগেই ঠিকটাক করে নিয়েছেন।
আরেক প্রার্থী চয়নিকা তালুকদার জানান, যোগ্য প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি এই পরীক্ষায়। নিয়ম রক্ষার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ কমিটির সদস্যরা আগেই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করেছে। এত দুর্নীতি আর কোথাও দেখিনি।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলছে পরীক্ষা হয়ে গেছে। ফলাফল ঘোষনা বাকী রয়েছে। আবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এমন ভিন্ন ধরনের বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।
গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল কান্তি দাস বলেন, সুষ্টুভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয় আমি কিছু জানিনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাস বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী মেধাবীদের নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে বিন্দুমাত্রও দুর্নীতি করা হয়নি। সকলের উপস্থিতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই গত শনিবারের অনুষ্টিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে কোনো যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।