হাওর নদী নালা খালবিলের জনপদ সুনামগঞ্জ এখন আ’লীগের ঘাটিতে পরিনত হয়ে উঠছে। যে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগের কোন্দলে ভরপুর ছিল!সেই সুনামগঞ্জ এখন আওয়ামীলীগের জয়জয়কার।
বিশেষ করে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জের হাওর রাজনীতির পরিবেশ অন্যরকম। আর এমনটি খোদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জনসাধারন।
বিশেষ করে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনে যে, কয়েকজন মুজিব সৈনিক রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল।
এখন সুনামগঞ্জে রাজনীতি মানে চপল, আর
চপল মানে সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্যতার পাত্র! আর এটার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বলেন, সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য ফুড়িয়ে যেতে বসেছিল। চপলের কারনেই আবার ফুরফুরে মেজাজে দলীয় কর্মসূচিতে স্বস্ফুর্তভাবে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে ।
সুতারাং এই যখন সুনামগঞ্জ রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট। তখন সম্প্রতি মুজিবর্ষ ও আসন্ন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চপলের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। জানা অজানা রাজনীতির আদ্যপান্ত নিয়ে কথা বলেন খায়রুল হুদা চপল যা পাঠকের জন্য চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই ক্লিন ইমেজের এই রাজনীবিদ খায়রুল হুদা চপল বলে উঠলেন। আজকের বাংলাদেশ আর কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ এক নয়?
এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্য ঘাটতির দেশকে করেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন উন্নত বাংলাদেশের- সে যাত্রায় অদম্য গতিকে এগিয়ে চলছে দেশ।
তিনি বলেন,জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তথা হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জে অনেক পরিবর্তন এসেছে যা বিগত কোনো সরকারের আসলো হয় নি?
চপল বলেন, যে গ্রামীণ জনপদে হারিকেন দিয়ে আলো জ্বলতো সেই গায়ে বিদ্যুত এসেছে ইন্টারেনট এসেছে এটাই জননেত্রী শেখহাসিনার অনন্য অবদান নয় কি???
চপল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেও চোখ থাকে কেন্দ্রের দিকে। দলের আইন কানুন দলীয় নির্দেশনায় প্রতিদিন চলেন।
চপল জানান, দূর্ণীতি করবা না দূর্নীতি কে প্রশয় দেই না। জনসেবা কে আমি ইবাদত মনে করি বলে।
সুনামগঞ্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বানে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশনায়। করোনা ও বন্য নিজের জীবন বাজি রেখে গরিব দুঃখীদের পাশে ছিলাম পাশে আছি পাশে থাকব।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা ধারণ করে মুজিব আদর্শের প্রতিটি সৈনিক দেশ ও জাতির কল্যাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করাই আমাদের অঙ্গীকার।
চপল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে মূলোৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণই করা হবে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিশ্ব দরবারে পরিচিত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে এবং পূর্ব পুরুষের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে সম্মিলিত সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে।’ সেজন্য মাতৃভূমিকে আগামী প্রজন্মের উপযোগী করে গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই আজ বাস্তবায়িত করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা নিছক কোনও প্রধানমন্ত্রী নন, তার লক্ষ্য পরবর্তী নির্বাচন নয়, তার ভাবনায় শুধুই পরবর্তী প্রজন্ম।’
গত সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগ সংকটে মানুষের পাশে থেকে এ আস্থা অর্জন করছে দাবি করে চপল বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দেশের যে কোনও সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।’
অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন অধিকতর সংগঠিত, শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেতাকর্মীরা নিবেদিত প্রাণ ও সজাগ।
দলের ইশতেহার বাস্তবায়নে সুশৃঙ্খল কর্মীরা প্রতিশ্রুতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ। বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা। বাঙালি জাতি তাদের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে তাঁর নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, সে কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।’
চপল বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন। তা হলো- বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই।
দলের মধ্যে ঢুকে সুবিধাবাদীরা যাতে সুবিধা নিতে না পারে সেদিকে সকল নেতাকর্মী কে সর্তক থাকতে হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আ’লীগের প্রাণ। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ আ’লীগের হাত কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
খায়রুল হুদা চপল। তিনি বর্তমানে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক।
কয়েক আছর আগে তিনি যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন। এছাড়া তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই।