সিলেটের বন্ধ পাথর কোয়ারী সমূহ খোলে দেওয়ার আহবান বৃহত্তর সিলেট পাথর ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের। ২৪ জুলাই রবিবার বৃহত্তর সিলেট পাথর ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দক্ষিন সুরমাস্থ কার্যালয়ে এক সভা থেকে এ আহবান জানানো হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মক্ষেত্র পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় রোজগার বঞ্চিত এ অঞ্চলের লাখো মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সাম্প্রতিক প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় সহায় সম্বল হারানো মানুষগুলো চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন, একসময় পাথর আহরণ করে জীবীকা নির্বাহকারী এ মানুষগুলো কর্মক্ষেত্র হারিয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছেন।
এদিকে দেশের অর্থনীতির এ ক্রান্তিকালে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে পাথর আমদানী করা হচ্ছে, এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অপচয় হচ্ছে। সিলেটের পাথর কোয়ারীগুলো খুলে দিলে একদিকে যেমন বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে অপরদিকে সিলেটের লাখো মানুষের জীবীকার পথ সুগম হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ খোলে দিয়ে লাখো মানুষের জীবন রক্ষার সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম হাদী ছয়ফুল। সংগঠনের সদস্য সচিব নুরুল আমীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক গফুর মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম,সহসভাপতি শরিফ আহমদ, ভোলাগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতি প্রতিনিধি সাংবাদিক শাব্বির আহমদ, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু,ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ সালেহ আহমদ শাহনাজ,সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ মালিক সমিতি নেতা ফয়জুল ইসলাম,কয়সর আলী জালালী,মুহিব মিয়া প্রমুখ।
সভায় সিলেটের পাথর কোয়ারী সমুহ খোলে দেয়ার দাবীতে আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে – জাফলং,ধোপাগুল এবং ভোলাগঞ্জে জনসংযোগ ও মতবিনিময়, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান।