মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বাজারগুলোতে গ্রীষ্মের মৌসুমি ফল উঠতে শুরু করেছে। বৈশাখের মাঝামাঝি সময় থেকে জৈষ্ঠ্যমাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ ফল বাজারে পাওয়া যায়। বনাঞ্চল অধ্যুষিত উপজেলা থাকায় এখানে কাঁঠাল, আনারস, আম, জাম ও লিচু মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়। বরাবরের মতো এবারেও মৌসুমি ফলের ফলন ও বাজারদর ভালো রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বৈশাখের শেষ সপ্তাহ থেকে গ্রামের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ করে আনারস, কাঁঠাল ও লিচু কিনে ঠেলা বা ভ্যান গাড়ি করে বাজারে নিয়ে আসেন। আবার অনেকে কাঁধভার করে ঝুড়ি সাজিয়ে ফল নিয়ে বাজারে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ বিক্রেতা বাজারে বসে খুচরা বিক্রি করলেও অনেকে আবার পাইকারি বিক্রি করেন। এ উপজেলার কাঁঠাল ও আনসার সারাদেশে বাজারজাত করা হয়।
সরেজমিনে উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ, আদমপুর ও মুন্সীবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে কাঁঠাল, আনারস লিচু ক্রয় করছেন বাজারের স্থায়ী ফল ব্যবসায়ীরা। এসব ফল আকার অনুযায়ী আবার কেউ এক সঙ্গে গড় মিলিয়ে কিনেছেন। আর ব্যবসায়ীরা খুচরা ক্রেতার কাছে কাঁঠাল, আনারস ও লিচু আকার অনুযায়ী বিক্রি করছেন। প্রতি পিছ মাঝারি কাঁঠাল ১০০ থেকে ২০০ টাকা, এক হালি আনারস আকার অনুপাতে ১০০ থেকে ২২০ টাকা, একশ পিছ স্থানীয় লিচু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ও কেজিপ্রতি আম ৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ পরে এসব ফলের দাম কমে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।