বাবাকে আহত করে মাকে বেধে রেখে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ।
রোববার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধরখন্ড ক্ষেত্র গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা নগদ ২ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রোববার মধ্যরাতে মুষুলধারে বৃষ্টির সময় উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর গ্রামে মেয়েটির বাড়ির দরজা ভেঙে মুখোশ পরিহিত ৩ যুবক কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই যুবকরা মেয়েটির বাবাকে ধারালো অস্ত্রাঘাতে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় মেয়েটির মা এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে ওই কক্ষের আলমারির দরজা খুলে নগদ ২ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে মুখোশ পরা দুর্বৃত্তরা। লুট শেষে পাশের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ির পাশের ইউক্লিপটাস বাগানে নিয়ে গিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করে তারা। পরে তারা মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের ধারণা, পৈশাচিক এ ঘটনার সঙ্গে এলাকারই লোকজন জড়িত রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, মুখোশ পরা থাকায় যুবকদের তিনি চিনতে পারেননি। অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে তাদের ফোনে বিভিন্ন সময় অশালীন লেখা মেসেজ আসতো। এছাড়াও তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য পাশের জমির মালিক এক প্রকৌশলী নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছে। এই দুই পক্ষের কেউ শত্রুতাবশত এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চান ভুক্তভোগীর বাবা।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি তদন্ত চলছে। কিশোরীকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তকাজ চলছে। খুব শিগগিরই এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।
এ ঘটনাটি পরে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।