সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ১০০মিটার ব্রিজের হতে শক্তিয়ারখলা বাজার হয়ে গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় ও বিগত বন্যায় রাস্তায় খানাখন্দে ভরা ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ছোট-বড় গর্তে জমে থাকে পানি,দেখলে মনে হয় জলাশয়। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তি এবং দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। এ রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই আবার পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখাযায়, অসংখ্য স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ। এসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট ও মাঝারি যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে হতাহতের বেড়েই চললেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা মো. জামাল হোসেন জানায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে। তবে রাস্তার করুণ দশায় জনজীবনে বিঘ্ন ঘটছে। মোটরসাইকেল সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ জানায় এই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। অটো রিকশাচালক সমিতির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন বলেন রাস্তায় গর্তের কারণে যাত্রী রা অটোরিকশায় উঠতে চায় না। খুব ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। ফলে আয় রুজি কম হয়।
রাস্তাটি মেরামতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকলেছুর রহমান সরদার বলেন, জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। খুব তারাতারি সংস্কার কাজ শুরু হবে আশা রাখি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউজ্জামান জাদিদ জানান, আমার জানানেই তবে আমি বিস্তারিত জেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।