বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দেয়া প্রার্থীদের প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই শেষে ৪ জন মেয়রসহ ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বাদ পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) উপজেলা নির্বাচন অফিস ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তিনি মেয়র প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবকারি-সমর্থনকারি সামনে রায় ঘোষণা করেন এবং কেন মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হলো সেটিও অবহিত করেন। এসময় প্রায় সকল মেয়র প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর, সাবেক পৌর প্রশাসক মো. তফজ্জুল হোসেন, জাতীয় পার্টির সুনাম উদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত এডভোকেট আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ টিটু ও জিএস ফারুকুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাসের পিন্টু ও প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ।
বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। হলফনামায় পেশার বিষয়টি অস্পষ্ট থাকা ও পূরণ না করায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন। এই বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অত্যাধিক কঠোরতায় প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, বাছাইয়ে অবৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন আব্দুস সবুর, অজি উদ্দিন ও আহবাব হোসেন সাজু। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২৭ মে। আগামী ১৫ জুন ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।