বাউল সাধক, ভাটির কালমার্কস শাহ্ আব্দুল করিমের ১৩তম প্রয়াণ দিবস আজ ১২ সেপ্টেম্বর। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে দীর্ঘ শিল্পী জীবনের অবসান ঘটিয়ে পরপারে পাড়ি জমান বাংলা লোকগানের এই কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী।
ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসা, ন্যায়-অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সৃষ্টিতত্ত্ব, নবীতত্ত্ব, রাধাকৃষ্ণতত্ত্ব, মুর্শিদি, মারফতি, ভক্তিগীতি, মনশিক্ষা, দেহতত্ত্ব, কারবালাতত্ত্ব, বিরহ, বিচ্ছেদ, দেশাত্মবোধক, সমাজ বিনির্মাণ প্রভৃতি বিষয় তার গানকে করেছে মাধূর্যময়। তার গানের সংখ্যা অসংখ্য। ছিলেন পুরোদস্তুর একজন কবিও।
তার রচিত গানের মধ্যে ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘রঙের দুনিয়া চাই না’, ‘কৃষ্ণ আইল রাধার কুঞ্জে’, ‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’সহ অসংখ্য গান মুখে মুখে ফিরে।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন শাহ্ আবদুল করিম। তার পিতার নাম ইব্রাহিম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান।
বাউল শাহ আবদুল করিমের গান সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলে। তিনি ফকির লালন শাহ, পাঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ’র দর্শন থেকে গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। যদিও দারিদ্র্যের কারণে তাকে কৃষিকাজে বিপুল শ্রম দিতে হয়েছে, এরপরও গান সৃজন থেকে বিরত থাকেননি।