পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে চলতি মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এ সময় চৈত্র মাস, কিছুটা খরা থাকে। এছাড়া রমজানের আগে মা-বোনেরা বাড়তি জিনিসপত্র কিনে মজুত রাখেন। এর ফলে সরবরাহ ও মজুতে সমস্যা হয়। তবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে এসব সমস্যা থাকবে না। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতিও কমবে।
গতকাল চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাজার ঠিক রাখতে সরবরাহ বাড়িয়ে দেবো। শুধু পুলিশ দিয়ে বা জেল-জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কেউ মজুত রাখলে আমরা সীমান্ত খুলে দেবো। ওপারে মালামাল ট্রাক নিয়ে বসে আছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে এম এ মান্নান আরও বলেন, রমজান সংযমের মাস। মা-চাচিরাও এসময় মজুতদার হয়ে যান। রমজানে ১০ কেজি চিনি, ৫ কেজি তেল কিনে মজুত রাখেন। ভোক্তাদের এই অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নেন ব্যবসায়ীরা। তাতে সরবরাহ এবং মজুতেও বড় সমস্যা হয়। রমজানে খাদ্যপণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।