ম্যাজিক ম্যানের এক ফোন কলেই সিলেটে কমে গেল বিদ্যুতের লোড শেডিং। এই লোড শেডিং জিরো পর্যায়ে নিয়ে আসারও প্রতিশ্রুতি ম্যাজিকম্যানের। সিলেটের এই ম্যাজিকম্যান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী।
এর আগে গেল চারদিন থেকে সিলেটে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে সিলেটবাসীকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর বাগবাড়িস্থ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন। এসময় কর্মকর্তারা তাঁদের ঘাটতির কথা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে জানালে তিনি সাথে সাথে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সিলেটের বিদ্যুতের ঘাটতি পুরণে অনুরোধ জানান।
জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রচন্ড দাপদাহে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি ও কয়েকটি কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় সারাদেশে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে পুরোদমে উৎপাদনে নেওয়ার কাজ চলছে তবে সিলেটের বিদ্যুতের ঘাটতি পুরণ করতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর উদ্যোগের ফলে আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে সিলেটে বেড়েছে বিদ্যুতের সরবরাহ। ফলে নগরীতে কমেছে লোডশেডিং।
বিষয়টি জানিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরাফাত-আল-মাজিদ ভূঁইয়া বলেন, বুধবার (১৯ এপ্রিল) সিলেটে ১৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো। এর বিপরিতে সরবরাহ করা হচ্ছে বর্তমানে ১৭৭ মেগাওয়াট। ঘাটতি রয়েছে মাত্র ৬ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, সিলেটে এই ঘাটতি শুন্যের কোটায় নেমে আসবে। এর আগে, মঙ্গলবার সিলেট মহানগরীতে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো। এর বিপরিতে সরবরাহ ছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিলো ৮০ থেকে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের।