ময়না তদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট প্রায় অভিন্ন
পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের ময়না তদন্তেও ৪টির বেশি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর আগে নিহত মেজর সিনহার সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ ৬টি গুলির চিহ্ন খুঁজে পায়। কিন্তু টেকনাফ থানায় মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যে মামলা দায়ের করেছে তাতে উল্লেখ রয়েছে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত সেই রাতে ৪টি গুলিবর্ষণ করেছিলেন।
তবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, সেই রাতে পরিদর্শক লিয়াকতের গুলির পর ওসি প্রদীপ এসে আরো ২টি গুলি করেছিলেন মাটিতে লুটিয়ে পড়া মেজর সিনহার গায়ে।
এতে মনে করা হচ্ছে যে, ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রায় অভিন্ন।গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক লিয়াকতের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর সিনহা। তাঁর (মেজর সিনহা) নিহতের ঘটনা নিয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটিতে বলা হয়েছে, সেই রাতে পরিদর্শক লিয়াকত ৪টি গুলিবর্ষণ করেছিলেন।
পরের দিন নিহত মেজর সিনহার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। উপ-পরিদর্শক সাইফুল তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, মেজর সিনহার মরদেহে ৬টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমি মেজর সিনহার মরদেহ তন্ন তন্ন করে দেখেছি। মরদেহে আমি মোট ৬টি ফুটো দেখতে পেয়েছি। যা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।’
টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলা এবং পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে বর্ষিত গুলি ও মরদেহের গুলির ফুটোর চিহ্ন নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়ার পর থেকে সবাই ময়না তদন্তের অপেক্ষা করছিল। শনিবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে কাঙ্খিত ময়না তদন্তের রিপোর্টটি তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের হাতে পৌঁছেছে।
ময়না তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তবে একথা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মেজর সিনহার মরদেহে ৪টির অধিক গুলির চিহ্ন মিলেছে। এতে মনে হচ্ছে প্রায় অভিন্ন রয়েছে রিপোর্ট।
অপরদিকে সেই রাতের একজন প্রত্যক্ষদর্শী টমটম চালক শনিবার বিকালে জানিয়েছেন-‘পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত গুলি কর।