সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা বালি মহালটি সরকার কর্তৃক এক বছরের জন্য ৩১ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় বালুমহাল দুটির সীমানা নির্ধারণ করে ইজাদারকে দখল সমজিয়ে দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. আলা উদ্দিন, ২৮ বর্ডারগার্ড বিজিবির লাউড়েরগড় অঞ্চলের নায়েব সুবেদার মো. মোতালেব মিয়া সরেজমিন এসে আজাদ এন্টারপ্রাইজ ও নীলম ট্রেডিং এই দুটি টিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়ে দেন।
এ সময় ইজারাদার ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক ও ইজারাদার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সেলিম আহমদ উপস্থিতি ছিলেন। পরে নির্ধারিত সীমানায় নিশান লাগিয়ে দেয়া হয়।
এই বালুমহাল ইজারার ফলে এই অঞ্চলের প্রায় লাখো শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইজারাদাররা।
তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলা উদ্দিন বলেন যাদুকাটা ১ বালুমহাল এবং যাদুকাটা-২ বালু মহালটি নদীর বারিকের টিলার পরে ১২০৩ নং পিলারে ইজারাদারের কোনো শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবে না। কেননা এই পিলারের পরে নদীর বাকি অংশটুকু সরাসরি ভারতের ল্যান্ডের মধ্যে পড়ে। এই মূহুূর্তে যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন এর ডান দিকে ৫শত ফিট পরেই ভারতের নোম্যান্স ল্যান্ড আর বাঁ দিকে হলো বাংলদেশের এই সীমান্তবর্তী যাদুকাটা ১ বালু মহালটি।
এ ব্যাপারে বালুমহালটির ইজারাদার মো. সেলিম আহমদ বলেন, প্রায় ৩২ কোটি টাকা দিয়ে আরো এক বছরের জন্য এই মহালটি ইজারা আনা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে কোনো শ্রমিক ভারতের সীমানায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে আমরা ইজারাদাররা এখানকার প্রতিটি জায়গাতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, এই বালু মহালটি ইজারা নেওয়ার ফলে জেলায় সম্প্রতি যে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে তাতে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। এবং লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।