1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন




রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে

বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
    আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ৩:০৬:২৬ অপরাহ্ন

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাসূল (সা.)-এর স্মৃতি বিজরিত স্থান। এমন অনেক স্থান আজও খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এসব স্থান ইসলামের ইতিহাসে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ।

সম্প্রতি সৌদি আরবের বিজ্ঞানীরা এমন একটি স্থান খুঁজে পেয়েছেন যে স্থানটি প্রাক ইসলামের পূর্ববর্তী সময় থেকে শুরু করে ইসলাম প্রচারের সময় বাজার হিসেবে ব্যবহার করা হত। নতুন স্থানটি মক্কা নগরীতে অবস্থিত।

খুঁজে পাওয়া স্থানটির নাম ‘সৌক হাবাশা’। বাদশা আবদুল আজিজ ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড আর্কাইভস, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও হেরিটেজ কমিশনের সহযোগিতায় এটি আবিষ্কার করা হয়। ‘সৌক হাবাশা’ ছিল একটি প্রাচীন মৌসুমী আরব বাজার এবং আরব উপদ্বীপের পশ্চিমে তিহামাহ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার। আরবি বছর গণনা শুরু হওয়ার পর প্রতি বছর এটি ৮ দিনের জন্য চালু করা হয়। রজব মাস শুরুর দিন থেকে ৮ দিনের জন্য বাজারটি চালু করা হতো। এ কার্যক্রম ১৯৭ হিজরি পর্যন্ত চালু ছিল।

ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি-জেনারেল এবং সৌক হাবাশার বৈজ্ঞানিক কমিটির প্রধান ফাহাদ আল-সামারি, দারাহের অফিসিয়াল টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই ঐতিহাসির তথ্যের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই স্থান চিহ্নিত করার জন্য বাজারের তথ্য এবং রাসূল সা. এর জীবনী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘সৌক হাবাশা’ বাজারটি সৌদি আরবের ইতিহাস এবং সংস্কৃতিতে বিশাল অবদান রাখবে।

‘সৌক হাবাশা’ বৈজ্ঞানিক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল-জাহরানী বলেন, ‘সৌক হাবাশা’কে শনাক্ত করার জন্য একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন, গবেষক, ইতিহাসবিদ, ভূগোলবিদ এবং নবীর জীবনী বিশ্লেষকরা। অধ্যয়ন এবং গবেষণা প্রকল্পগুলো ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত কমিটি দ্বারা প্রস্তাবিত ফিল্ড সাইটগুলো গত বছর পরিদর্শন করা হয়েছে।

‘সৌক হাবাশা’ বৈজ্ঞানিক কমিটির আরেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল ওয়ালি বলেন, আমরা উপকূলীয় রাস্তা, তিহামা রাস্তা, সারওয়াত পর্বতের চূড়া এবং সেই সঙ্গে এলিফ্যান্ট রোডসহ সম্পূর্ণ কাফেলার রুট আঁকতে কাজ করেছি। এজন্য চারটি মানচিত্রে আঁকা হয়েছিল যা সত্যিই বাজারের অবস্থান নির্ধারণে সহায়তা করেছিল। তারপর ইতিহাসবিদদের কাছে আমরা তা হস্তান্তর করি।

ইতিহাসবিদরা বলেন, এই বাজারটি রাসূল (সা.)-এর জীবনীতে উল্লেখ আছে। তিনি ইসলামের প্রচার শুরু করার আগে বাজারটি ব্যবহার করতেন।

শুধু তাই নয়, স্থানটির ঐতিহাসিক সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘সৌক হাবাশা’ কমিটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতা নেয়।

এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক বাজারগুলো সাধারণত এমন এলাকায় অবস্থিত ছিল যেখানে প্রচুর পানি, বৃষ্টিপাত এবং চারণভূমি রয়েছে। সে অনুযায়ী ‘সৌক হাবাশা’ মক্কা অঞ্চলের একটি উপকূলীয় শহর আরদিয়াতে ওয়াদি কানুনার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ছিল।

নতুন আবিষ্কৃত এই স্থানটি সৌদি আরবে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দুবিন্দু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ধর্মীভাবে মুসলিমদের কাছেও স্থানটি নতুন এক সুযোগ সৃষ্টি করবে।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020