হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের জালিয়াতির চক্রের প্রধান সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা করেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলটি সি,আই,ডিতে প্রেরন করেন হবিগঞ্জের সি আই ডির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বাছেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই রবিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে দাখিল করলে মামলাটি আমলে নিয়ে পেনাল কোডের৪১৯/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৮/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারায় অপরাধ করেছে মর্মে তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হওয়ায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রতিবেদন দেখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন জালিয়াতি চক্রের প্রধান আইয়ুব রাজা ইমরানসহ পাঁচ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন, এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট এম আজিজুল রহমান আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায় উপজেলায় স্বজনগ্রামের বিশিষ্ট জমিদার রায় পরিবারের সম্পত্তির মালিক হওয়ার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। উপজেলার ১নং ইউনিয়নের স্বজনগ্রাম রায়হাটির বিটিশ আমলের বিশিষ্ট জমিদার বিনয় কুমার রায় কায়স্ত রায় জমিদার বংশের পরিচয় দিয়ে গীতা রানী রায় সাহা রায়কে ১নং লাখাই ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আউয়ুব রাজা এমরান বিগত ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে বিনয় কুমার রায় গংদের বর্তমানে কোন ওয়ারিশান না হওয়া সত্ত্বেও জাল জালিয়াতি করে ভুয়া ওয়ারিশান দেওয়ায় বিগত ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে লাখাই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরিফ আহমেদ রুপন বরাবর ঐ গ্রামের বাসিন্দা আশীষ দাশ গুপ্ত দরখাস্ত দিলে তিনি তদন্ত করে এই বিনয় কুুমার রায় কায়স্ত রায় গংদের বংশের কোন ওয়ারিশ নেই বলে প্রত্যায়ন পত্র দেয়। এবং নিত্যানন্দ রায়ের মেয়ে গীতা রানী রায়ের ছেলেরা তাদের ওয়ারিশ নহে, নিত্যানন্দ রায় হলো সাহা রায় বিনয় কুমার রায় কায়স্ত রায় এর পরিবারের সাথে তাহাদের কোন বংশের বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ আহাম্মদ রুপনের অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে আইয়ুব রাজা ইমরান ও মহিলা মেন্বার নার্গীছ জাহান, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের বাসিন্দা গীতা রানী রায় ও তার দুই ছেলে লক্ষন রায়, তাপস রায়কে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে বিগত ১১ এপিল ২০১৮ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আদালতে ভুয়া ওয়ারিশান দিয়ে আশীষ দাশগুপ্ত গং দের খরিদা দখলীয় সম্পত্তির বিরুদ্ধে মামলা করে।
এ ব্যপারে আশীষ দাশ গুপ্ত বাদী হয়ে গত ১৮ আগষ্ট হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭৫/২১ নং মামলা দায়ের করে, মামলার আসামিরা হলেন লক্ষন রা্য, তাপস রায়, গীতা রানী রায়, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আউয়ুব রাজা এমরান, লাখাই ইউনিয়নের ৭ ৮ ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্য নার্গীছ জাহান। ঐ জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ায় খুশিতে লাখাই স্বজনগ্রামের সাধারণ মানুষ হাটে বাজারে রাস্তা ঘাটে আলোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক বলেন আমরা তাদের গ্রেফতার এর দাবী জানিয়েছেন তারা আরো বলেন এই চক্রটি এলাকায় অনেক জালজালিয়তি করছে তাদের বিচার না হলে আরে জাল জালিয়াতি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে।