সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের উপ্তিরপার গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত ও পূর্ব শক্রতার জেরে হযরত আলী গংদের বাড়িতে গ্রামের প্রতিপক্ষ সাইফুল ও জমসেদ গংদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, সুলফি, লাঠিসুটা নিয়ে হামলা করে । এতে হামলায় ১৮ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে ১৬ই মার্চ সকালে পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের উপ্তিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা হযরত আলী ও আলী আহমদ গংদের বাড়িতে। এ ঘটনায় গত ২৩ শে মার্চ শান্তিগঞ্জ থানায় ৬২ জনের নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং-৮,২৩/৩/২০২৩ইং,ধারা ১৪৩ , ৪৪৭, ১১৪, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
আসামীরা হলেন শান্তিগঞ্জ থানাধীন একই গ্রামের উত্তরপার হাটির বাসিন্দা সাইফুল(৩৫),জমসেদ মিয়া (৫৫),হেলাল মিয়া (৩৫),আলী পাশা (৩৫), নুর আলম (৩৮), সুমন মিয়া (৩৫),ফারুক আহমদ (৫০),শেরন মিয়া (২৫),শাহ আলম (৪৫), জিয়াউল হক (৩২),জহির মিয়া (২৫),একরাম হোসেন (৪৫),জরিফ উল্লাহ (৩৮),মিলন মিয়া(৩৭),জুয়েল (৪০),জিলাল (৪০),মনা মিয়া(২৫), রব্বানী (৩৫),আলীনুর (২৮),আরজদ আলী(৫৮), তলকিছ আলী (৬০),জাবেদ(৩২),আলম (৩২),আলম (২৭),সেনু মিয়া (২৪), তাজ্জুদ মিয়া (৫০), লাল মিয়া(৫৫), কাচাঁ মিয়া (৬০),জুনাব আলী জুনুর (৫৫),শানুর মিয়া (৪০),রজব আলী (তালিব (২৫), কবির আহমদ (৩৮),নদন মিয়া (২৫), সু আলম (৩০), মুকাব্বির (২০),আফরাজ মিয় (৪০), সিরাজুল হক (৪০), কামরুজ্জামান (৬০),ইলিয়াস মিয়া (৫৫), আম্বও আলী (৪৫), আমজদ আলী (৩৫),বালাম (৩৫), শাহিদ আলম (২৫), আব্দুল হেকিম (৬০), মুকিদ মিয়া (৪৫), আনর মিয়া (৫০),জিহাদ (২২), ফরিক মিয়া(৪৫), লিটন মিয়া (৩৫), সমছুল হক (৫০),বাদশা মিয়া (৬০), আসাদ ( ৫৫),বাবুল মিয়া (৩০),হুসাইন (২৫), আলাল মিয়া (৩৫),শহিদ মিয়া (৩৫), আতাউর রহমান (৩৫), হাবিব (২৬), মনির উদ্দিন (৬০), সোয়েব (২৫), ফজলু (২১), আনছার (৫০) এই ৬২ জনকে আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় হযরত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
জানাযায় গত ১৪ই মার্চ বাদী হযরত আলীর ভাতিজা নাসির মিয়া সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। তাহার দাফন কাপনে অংশগ্রহন করতে হযরত আলীসহ তাহার আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষ সাইফুল গংরা বাঁধা সৃষ্টি করে।
এ সময় এলাকার লোকজন বিষয়টি মিমাংসার স্বার্থে দু-পক্ষের লোকজনকে শান্তি শৃঙ্কলা বজায় রেখে চলার জন্য অনুরোধ করেন এবং ১৬ই মার্চ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার জন্য বলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাইফুল ও জমসেদ গংরা এলাকার পঞ্চায়েতদের লোকজনের কথা অমান্য করে গত ১৬ই মার্চ সকাল অনুমান ৯ঘটিকার দিকে শালিস না বসে শতাধিক লোকজন নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, সুলফি, লাঠিসুটা নিয়ে আনন্দ উল্লাসে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হযরাত আলী গংদের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা হযরত আলীগংদের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও লোকজনদের উপর হামলাকরে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১৮ জনকে রক্তাক্ত জখম করে ।
হামলাকারীরা বাড়ির মহিলা ও শিশুদের জিম্মি করে প্রাণে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় মহিলা ও শিশুদের সু-চিৎকার ও গুলি বর্ষণের শব্দ শুনে মসজিদের ইমাম মাইকে ঘোষনা করে এলাকার লোকজনদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন ও স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর রক্ষাক্ত আহত হযরত আলী, আমির আলী,মিয়া হোসেন,শাহ জাহান, ইউনুছ আলী, আলীনুর,নিজাম, কদর আলী,উসমান আলী,আলেছা বেগম,হাবিব,(আমির আলী-২), সামছুল হক, মার্জিয়া বেগম, জসিম উদ্দিন,মুসতাব মিয়া, সিদ্দেক, মসাদ,ইরশাদকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান মামলা রুজু হয়েছে আসামীরা পলাতক রয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।