শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মোছা. মাসুমা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে নিহত মোছা. মাসুমা বেগমের বড় ভাই কয়েছ মিয়া বাদী হয়ে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর বাকী অভিযান পরিচালনা করে নিহত গৃহবধুর স্বামী ও অভিযুক্ত মো. আকুল হোসেনকে (৩০) আটক করেছেন। সে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মৃত জমসর আলীর ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে ভিকটিম মোছা. মাসুমা বেগম ও অভিযুক্ত আকিল হোসেনের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার(২৮ জুলাই) সকালে অভিযুক্ত আকিল হোসেন ও ভিকটিম মোছা. মাসুমা বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে অভিযুক্ত মো. আকিল হোসেন তাঁর শশুর বাড়ীর লোকজনকে ভিকটিম মোছা. মাসুমা বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মোবাইল ফোনে জানায়। খবর পেয়ে বাদী সহ শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
এসময় থানা পুলিশ ভিকটিম মোছা. মাসুমা বেগমের মৃত দেহের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। বাদী কয়েছ মিয়া অভিযুক্ত মো. আকিল হোসেন তাহার বোন মোছা. মাসুমা বেগমকে ওড়না দিয়া গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং হত্যার ঘটনাটিকে কৌশলে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আত্মহত্যার ঘটনাটি সাজিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর বাকী জানান, মামলা রুজুর সাথে সাথে ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদানের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী হত্যা মামলা দায়েরর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।