সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যের প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগটি দায়ের করেছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের ইউপি সদস্য রোশন আলী।
অভিযোগে ইউপি সদস্য রোশন আলী উল্লেখ করেন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে বরাদ্দ হতে আসামমুড় গ্রামের মছদ্দর আলীর বাড়ির সামন হতে রফিক আলীর বাড়ির সামন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে প্রতিদিন ১৫ জন শ্রমিকের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নের জন্য (চার লক্ষ) টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আমি ইউপি সদস্য হিসেবে উল্লিখিত প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম আমাকে বলেন যে, তিনি নিজে শ্রমিকদের দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলে উল্লিখিত মোবাইল ব্যাংকিং এর সীম তার নিকট রাখিয়াছেন।
আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কথা মতো ২৫ জন শ্রমিক দিয়ে আমার প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করি এবং ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামকে আমার শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধের জন্য বার বার তাগিদ দেই। কিন্তু অদ্য পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম আমার শ্রমিকদের মজুরী টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাত করেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। তিনি মনগড়া মত শ্রমিকের সীম তাঁর নিজের হাতে রাখে এবং নিজেই শ্রমিকদের সীমের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। আমি পিআইসি হিসেবে শ্রমিকদের সীমের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাত করায় আমি পিআইসি হিসেবে আত্মসাতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করিলাম।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সীম নিয়ম অনুযায়ী আমার ও সচিবের নিকট থাকার কথা। সেই হিসাবে আমি সীম আমার কাছে এবং টাকা উত্তোলন করেছি এবং প্রকল্পের টাকা রোশন আলী মেম্বারকে প্রদান করেছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।