হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ নির্মাণে কাজ হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। নির্দেশ মানছেন না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রায় এক একর ভূমি সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ না করে গত ১৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কক্ষের উপজেলা উপ-স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কমপ্লেক্স প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম, মেয়র এম এফ আহমেদ অলি, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম পাঠান, উপজেলা উপ-স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. অদিতি রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় হাসপাতাল রোড এলাকা বাসিন্দা মো. রমজান আলী বলেন, কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে যাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের রড, বালু, সিমেন্ট, ইট ও কংক্রিট ব্যবহার করে যাচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও প্রকৌশলী কাজের মান দেখার শুনার কেউ নেই। ইচ্ছে মত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে যাচ্ছে। এদিকে কংক্রিট ও বালু না চালিয়ে নিম্নমানের ৮ টুকরী কংক্রিট ও ১০ টুকরী বালু ও ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে মশলা তৈরি করে নীচের বেইজ থেকে উপরে পিলার ঢালাই করেছে। কংক্রিটে রাবিস সংখ্যা বেশি কিন্তু কংক্রিট ও ইটে সল্প পরিমাণ পানি না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি রড, কংক্রিট, বালু ও সিমেন্ট যে পরিমাণ দেয়ার কথা কিন্তু সিডিউল ছাড়া ব্যতিক্রম কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের দাবি নির্মাণ কাজটি সঠিক ভাবে করা হয়, তাহলে উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্র অনেক ঠেকসই হতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম ফোনে না পেয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।