দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন করছেন দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপ রতন চৌধুরী। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগরে পৃথক পৃথক সভা ও জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগরের মানুষের কল্যাণে। এর আগে তিনি করোনাকালীন এবং গেল বন্যায় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অসহায় মানুষের পাশে। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন থেকে মাদক মুক্ত একটি আলোকিত জনপদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে বারবার সফর করছেন সিলেট-২ আসন। এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঙ্গণের সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সিলেট-২ আসনের ভোটারদের।
ড. অরূপ রতন বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তোলে ধরতে চান। সেই লক্ষে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এই আন্দোলন শুরু করতে হবে তৃণমূল থেকে। জনগণ স্মার্ট না হলে দেশকে স্মার্ট করা অসম্ভব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কীর্তিমান পুরুষ শুক্রবার (৫ মে) সিলেট আসছেন। ওইদিন বিকালে তিনি লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত রাগিব-রাবেয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১৯৫২ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী, পিতা সিলেটের কৃতিসন্তান শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বড়ভাই অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, বোন অধ্যাপক ড. মধুশ্রী ভদ্র। স্ত্রী একজন সুগৃহিনী গৌরী চৌধুরী, দুই পুত্র অনির্বাণ চৌধুরী ও সপ্তক চৌধুরী।
উল্লেখ্য ড. চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কণ্ঠশিল্পী/শব্দ সৈনিক। ১৯৭৬ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি.ডি.এস, ১৯৮২-৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ এবং ১৯৯২-৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক এট স্ট্রনিব্রোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি পিএইচডি। ২০১২ সালে তিনি ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে ঋউঝজঈঝ (ফেলোশিপ ইন ডেন্টাল সার্জারি রয়েল কলেজ অব সার্জনস) ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ ৪৬ বছর এদেশের মুখ ও দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু প্রকাশনা ও গবেষণা কাজ করেছেন এবং মুখের চিকিৎসার বিভিন্ন আধুনিক তথ্য বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছেন ও রোগ প্রতিরোধের উপর বেতার, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের কাছে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
ড. চৌধুরী ১৯৮৯ সালে মাদক ও ধূমপানবিরোধী সংগঠন ‘মানস’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে বিগত ৩৩ বছর ধরে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অধ্যাপক চৌধুরী বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির একজন উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের একজন সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে বেতার ও টেলিভিশনে একজন সফল স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপক। সঙ্গীত জগতে ৬০ বছর ধরে জড়িত এবং বর্তমানে বেতার, টেলিভিশনে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী এবং নিয়মিতভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। ইতিমধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ৪টি অডিও সিডি ও দুইটি ভিডিও সিডি প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে ইউটিউবে তার গান, মিউজিক ভিডিও, বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও তার পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রচারিত হচ্ছে।