1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
সিলেটে দখলবাজ মাসুদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্দন
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৫:১৯ অপরাহ্ন




সিলেটে দখলবাজ মাসুদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্দন

বাংলানিউজএনওয়াই ডেস্ক::
    আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:২৬:২২ অপরাহ্ন

সিলেট নগরীর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাসুদ । তার এক ভাই বিএনপি নেতা, আরেক ভাই জামায়াতের নেতা । দখল বাণিজ্যে তারা পাকাপুক্ত । এবারের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে ঘিরেও ছিলো বিতর্ক । নানা কর্মকাণ্ডের কারণেই তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা । দখল বাণিজ্যে তার পুঁজি তিনি সরকারী দল করেন । ওয়ার্ড সম্মলনের দু’মাসের মাথায় এবার জমি দখলের ঘটনায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন । একটি অসহায় পরিবারের উপর সশস্ত্র হামলা ও লুটপাট চালিয়ে তাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করেছিলেন । ভাঙচুর ও লুটপাট মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মাসুদ । তার কর্মকাণ্ডে বিব্রত মহানগর আওয়ামী লীগ । ক্ষোভ বিরাজ করছে নগরীর চৌকিদেখী এলাকায় ।

পুলিশ মাসুদকে খোঁজে পাচ্ছে না, অথচ স্থানীয় এলাকার মানুষ বলছেন তিনি এলাকায়ই ঘুরে বেড়াচ্ছেন । গতকাল ৭ ডিসেম্বর বিকেলে মাসুদ গংদের গ্রেফতারের দাবীতে স্থানীয় এলাকাবাসী সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন । মানববন্ধন থেকে তারা অবিলম্ভে মাসুদ গংদের গ্রেফতারের দাবী জানান । মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, মাসুদ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে, অথচ পুলিশ মাসুদকে খোঁজে পাচ্ছেনা । তারা আতংকে আছেন, মাসুদ গ্রেফতার না হলে যে কোন সময় আবারও তাদের উপর হামলা হতে পারে ।

মাসুদের দলবলের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়ে গত ৬ দিন ধরে ওই পরিবারের দুই সদস্য হাসপাতালে রয়েছেন । নগরের চৌকিদেখীর ইলাশকান্দির উদয়ন ৩৬/২ নম্বর বাসা নিয়ে গত ৪-৫ বছর ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে জায়গায় বসবাসকারী রেজিয়া বেগম নামের এক মহিলার বিরোধ চলছিলো । রেজিয়া বেগম ও তার পরিবারের দাবি হচ্ছে, প্রায় ৪০ বছর ধরে ৩০ শতক ভূমিতে তারা বসবাস করছে । নতুন করে এসে মাসুদ ভূমির মালিকানা দাবি করছেন । এ সুত্র ধরেই গত ১ ডিসেম্বর ভোরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের সশস্ত্র লোক রেজিয়া বেগমের বাসায় অতর্কিত হামলা চালায় ।
তারা আধাপাকা বাড়ি ভাঙচুর করে । দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বাড়ির লোকজনকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার চেষ্টা করে ।

রেজিয়া বেগমের মেয়ে ফাতিমা বেগম বলেন, আমরা ঘুমে ছিলাম, আচমকা হামলায় তটস্থ হয়ে পড়ি এবং দেখি ৫০ জনের মতো সন্ত্রাসী আমাদের ঘরের আসবাবপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলছিলো । নারী ও শিশুদের কয়েকটি ঘর থেকে ধরে ধরে বের করে দিচ্ছিলো । এ সময় ভাই সাইদুল, আমিনুল, বোন আমিনা, শাবানাসহ কয়েকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় । পরে আম্বরখানা ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে । এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন তার ভাই সাইদুল রহমান ও আমিনা বেগম । ঘটনার পর থানায় মামলা হয়েছে, ফাতেমা বেগমই হচ্ছেন মামলার বাদী ।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মাসুদকে । আরও ১৪ জনের নামোল্লেখ রয়েছে মামলার এজাহারে । অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, সবাই ঘুমে ছিলেন চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে। ঘটনার সময় হামলাকারীরা সশস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাননি । তবে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে অবগত করা হয় । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।’ আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানিয়েছেন ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌছান এবং আহতদের উদ্ধার করেন । আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে । বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানিয়েছে- ঘটনার দু’দিন আগে মাসুদের পক্ষ থেকে আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি আবেদন করা হয় । ওই আবেদন তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশকে ।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মামলার প্রধান আসামি ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাসুদের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায় । মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে পুলিশও জানায় । তবে ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন জাহিদুল ইসলাম মাসুদ । সেখানে তিনি দাবি করেছেন- ওই সম্পত্তির মালিক তারা । দলিল, মাঠ পর্চা, খাজনা সবই তাদের নামে রয়েছে । রেজিয়া বেগম ও তার পরিবার ১০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে । ৪-৫ বছর আগে জাল দলিলের মাধ্যমে জায়গাটি রেজিয়া বেগম তার বলে দাবি করছেন ।

সিসিকের ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম জানিয়েছেন তার জানা মতে রেজিয়া বেগম ও তার পরিবার ৪০ বছর ধরে ওই জায়গায় বসবাস করছে । এলাকার মানুষও জানে জায়গাটি রেজিয়া বেগমের । এখন জায়গার আসল মালিক কে সেটি দলিল পর্যালোচনা না করলে জানার উপায় নেই । বিবদমান কোনো পক্ষই তার কাছে সালিশ বৈঠকের জন্য আসেনি । তিনি জানান বিষয়টি যেহেতু এখন আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে কাজেই এ ব্যাপারে এই মূহর্তে তার কিছু করনীয় নেই ।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020