সিলেটে অবচেতন অবস্থায় বাবা ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর প্রাণ গেল আরও একজনের। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়ালো। শনিবার (৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামিরা বেগম (২০)। নিহতের বাড়ি ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরের বড় ধিরারাই গ্রামে। এর আগে ২৬ জুলাই অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর সামিরার বাবা রফিকুল ইসলাম (৫০) ও সামিরার ছোট ভাই মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মারা যাওয়া সামিরার জ্ঞান না ফেরায় শঙ্কায় ছিলেন তার ডাক্তাররা। অবশেষে দীর্ঘ ১১ দিন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আইসিউতে থাকার পর তিনি মারা গেলেন। তিনি বলেন,এই ঘটনার অনেক আলামত ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গেল ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। একই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দুইদিন পর ২৮ জুলাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন মৃত যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামের শ্যালক দেলোয়ার হোসেন।
বর্তমানে হোসনে আরা ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত দুদিন থেকে তারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ২৮ জুলাই(বৃহস্পতিবার) ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর সোয়া ২টায় দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদরাসা মাঠে নিহতদের জানাজার নামাজের পর তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার দয়ামীর ইউপির বড় ধিরারাই গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও ছেলের দাফন সম্পন্ন করা হয়।