সিলেটে বুদ্ধিজীবীর স্মতিসৌধ এখন কুকুরদের অভয়ারন্য। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার সংলগ্ন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দলবেধে কুকুরের দল আসা-যাওয়া করলেও নজরদারী নেই সংশ্লিষ্টদের। সারাক্ষণ গেইট বন্ধ এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত লোক থাকলে কুকুর তাড়ানোর লোক নেই। মানুষ প্রবেশে বাধাঁ প্রদান করা হলেও কুকুর তাড়ানোর লোক পাওয়া যায়নি সেখানে। রোববার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ অবস্থায় সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেধে উঠেছে। তারা বলছেন, দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের চেতনা থাকলে এমনটি হতো না।
প্রামান্যচিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিরঞ্জন দে যাদু বলেন, ‘কুকুরের কাজ তো কুকুর করবেই, কিন্তু আমরা মানুষ হিসেবে কি করছি, কি করতে পারছি-সেটি তো দেখতে হবে। যাদের উপর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান সুরক্ষার দায়িত্ব, তাদের সেই চেতনা না থাকলে, দশা এমনটিই হবে। তাদের ভিতরে শ্রদ্ধার বোধ জাগ্রত না হলে এমন তদারকি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো কাজ হবে না।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বুদ্ধিজীবি কবরস্থানকে পুর্নসংস্কার করে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ যেন এখন বেওয়ারিশ কুকুরের আশ্রয়স্থল।
বিভিন্ন দিবস উদযাপন ছাড়া সারাবছরই তালাবদ্ধ থাকে এই স্মৃতিসৌধ।জনসাধারণের প্রবেশে বাধা থাকলেও পশু কিংবা কুকুরের অবাধ চলনে স্মৃতিসৌধের কতোটুকু সম্মানভার বহন হয়,তা যেন প্রশ্নবিদ্ধ।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয় নি।
শহীদ বুদ্ধিজীবীর পরিবার এবং সমাজের সচেতন মহল, শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদারকি গ্রহণ করতে।