কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খাঁন বলেছেন, সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পতিত জমি ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ও শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এতে কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ পুষ্টি ও সামাজিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ ৩১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে উৎপাদিত মরুভূমির ফল সাম্মাম ফসল কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সাম্মাম ফল কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. কাজী মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাজিব হোসেন, দি নিউ নেশন এর সিলেট ব্যুরো প্রধান এস.এ শফি, উপসহকারী কৃষি অফিসার শাহিদা সুলতানা, নজরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ ফাহিমদ, কৃষক জহির আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, রসালো মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ফল সাম্মাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইল গ্রামের প্রবাস ফেরত হাব্বান মিয়া ও বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা জহির আলী। তারা ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম বারের মত ১০০ শতক জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে সাম্মাম চাষ শুরু করেছেন।