এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে সবার চেয়ে এগিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ও আরিফুল হক চৌধুরীর সিদ্ধান্তহীনতার সুযোগে অনেকটা নির্ভার প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া অন্য দলগুলোরও প্রার্থীরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন কায়দায়। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের দেখা মিলছেনা প্রচারণার মাঠে। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা মাঠে নামবেন বলে জানা গেছে।
তফশিল ঘোষণার আগ থেকেই বিরামহীন মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পুরো নির্বাচনী মাঠ এখন বলা যায় আওয়ামী লীগের দখলে। নগরীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সংগঠন বা সমিতির সঙ্গে বৈঠক করছেন আনোয়ারুজ্জামান। প্রচারে তারা ভোটারদের ভোটের মাঠে ফিরিয়ে আনাসহ আমেজ ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
এ ছাড়া মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তারাও প্রতিদিন মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা অনেকটা কৌশলী ভূমিকায় রয়েছেন। বিএনপি নেতা আরিফুল হক প্রার্থী না হলে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট পাওয়ার হিসাব কষছেন এই দুই প্রার্থী। এমন তথ্য দিয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠজন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়র পদে আটজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও প্রচারণায় দেখা মিলেনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ও খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরীর। অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ২৩ মে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনের পর জোরেশোরে প্রচারে নামবেন। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গেলে নির্বাচন আরও জমবে বলে মনে করছেন ভোটাররাও।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থীর প্রচার না চালানোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকে তা মানছেন না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ইতোমধ্যে তিন সংসদ সদস্য ও একজন সরকারি চাকরিজীবী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। নৌকার সমর্থনে সভায় বক্তব্য দেওয়ায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালরের রেজিস্ট্রারকে গত শনিবার নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় জাপার সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়াকে রোববার শোকজ করেছে তার দল। সর্বশেষ সোমবার রাতে নগরীতে হবিগঞ্জ সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান দুই সংসদ সদস্য।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।