গত ১৬ জুন থেকেই সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গাতেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। ১৭ জুন থেকে ভয়াবহতার সৃষ্টি হয়। মানুষ ঘরবাড়ির মায়া ত্যাগ করে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। ঠিক তখনই বিজিবির অধিনায়ক লে কর্ণেল মাহবুবুর রহমান এর নির্দেশে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির জোয়ানরা প্রথমেই উদ্ধার তৎপরতার দিকে নজর দেন। পরে অনাহারী অর্ধাহারী মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ শুরু করেন। সেই সাথে বিজিবির মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান চিকিৎসা সেবা সহ ঔষধ দেন।
সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়িঘর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বানভাসির মধ্যে অদ্যাবধি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে চলেছেন। সুনামগঞ্জ সদর,তাহিরপুর, মধ্যনগর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকার গ্রামের পানি বন্দি মানুষদের চাল,ডাল, তেল ,ময়দা,চিনি,চিড়া,মুড়ি,বিস্কুট, খাবার স্যালাইন, ঔষধ সহ অন্যান্য জিনিস বিতরণ করেন। জানা যায়,সুনামগঞ্জ জেলার অন্তত ২০ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। এবং ২ হাজার মানুষ কে রান্না করা খাবার প্যাকেট বিতরণ করেন।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুবুর রহমান জানান, দুর্গতদের মাঝে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার জনগণের জন্য তাদের পক্ষ থেকে এখনও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।