হতদরিদ্র পরিবারকে সরকারি ঘর দেবার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের উপর। ওই ইউপি সদস্যের নাম এখলাছ উদ্দিন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ২ নং দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ৪ টি হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ইউনিয়নের গড়াকাটা গ্রামের লিটন মিয়ার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া গৃহহীনদের ঘর এনে দেবার কথা বলে ০৩ নং ওয়ার্ড গড়াকাটা গ্রামের বর্তমান মেম্বার এখলাছ উদ্দিন বিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন ! লিটন মিয়া এটাও বলেন আমার জায়গাজমি নেই। শশুর বাড়ি থাকি উনি এ প্রস্তাব দেবার পরে পাশের বাড়ির নাসিমার থেকে ২০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে গড়াকাটা গ্রামের মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে বর্তমান মেম্বার একলাছ উদ্দিন মঠোফোনে আমাকে যেতে বলে এবং আমি সেখানে নিজে গিয়ে মেম্বারের হাতে দেই।
একইভাবে ৩ নং ওয়ার্ডের পনারকুড়ি গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি (২) আব্দুল হালিম মিয়া (৬৫) একই গ্রামের (৩)শুক্কর মিয়া(৩৫),পিতা: মাখন আলী ও (৪) মোহাম্মদ আলী মিয়া (৩২)( আকবর আলীর ভাগিনা ) উনাদের কাছ থেকেও সরকারি ঘর এনে দেবার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করে!
এছাড়াও পাশের গ্রাম হরিনাকান্দী থেকেও ঘর এনে দেবেন বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মেম্বার এখলাছ উদ্দিনের উপর। ০৩ নং ওয়ার্ডবাসী উক্ত মেম্বারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোরদার দাবি জানান।
তবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এখলাছ উদ্দিন। তিনি বলেন, একটি পক্ষের প্ররোচনায় আমাকে হেয় করার জন্য এটি একটি কৌশল। এই কৌশলের মধ্য দিয়ে মূলত আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।
বাংলানিউজ এনওয়াই/ জেএস