সুনামগঞ্জে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃতরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার শাহজাদী ( ২২) । তিনি সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অপরজন হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশ গাওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী লায়লা সোবহান ঝিলিক। তিনি পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাবে এসএসসি পরীক্ষার্থী ঝিলিক জানিয়েছেন, তিনি মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে তাকে মারধোর করেন। এতে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সাথে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যান।
অপরদিকে কলেজ ছাত্রী সোমা আক্তার শাহজাদী তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সাথে বাড়ি ছাড়েন। তিনি এখন বিয়ে নয়, লেখাপড়া করতে চান বলেও জানান। এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় পৃথক দুটি জিডি ও করা হয়।মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা।
পুলিশ জানায়, দুই ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ১১ দিন পরে ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয় পুলিশ তাদের সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী লায়লা সোবাহান ঝিলিক ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সাঞ্জু মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার শাহজাদী (২২) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মনিরুজজামান ও বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকার নারায়ণ গঞ্জ গিয়ে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে পরিবারের অভিভাবকদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।