মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার স্যাকমো মো: নূর নবীর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বড়লেখা পৌর শহরে অবস্থিত হলি লাইফ স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে সরকারি ওষুধ প্রাপ্তির বিষয়েও পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস গত সোমবার (২১ জুলাই) তিন সদস্যবিশিষ্ট এ দুটি কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।
কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রামেন্দ্র সিংহ, সদস্য সচিব আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস আক্তার এবং সদস্য মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশু শেখর দে। ২টি কমিটিতেই এই তিন কর্মকর্তা রয়েছেন।বড়লেখা উপজেলার বড়লেখা সদর ইউনিয়নের সাতকরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো: গিয়াস উদ্দিন সম্প্রতি বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মো: নূর নবীর (রাজু) বিরুদ্ধে যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়াসহ নানা অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ এনেছেন। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বড়লেখা শহরে অবস্থিত হলি লাইফ স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সরকারি ২ ভায়াল লিডোকেইন ইনজেকশন পাওয়া গেছে।বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বুধবার (২২ জুলাই) তিন সদস্যবিশিষ্ট দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (স্যাকমো) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা এবং প্রাপ্ত ওষুধ বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিনা, তা কমিটি তদন্ত করে দেখবে।প্রসঙ্গত, অনিয়মের অভিযোগ ওঠা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মো: নূর নবী (রাজু) লাইসেন্স বিহীন হলি লাইফ স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী মৌসুমী কিবরিয়া। গত ১৬ জুলাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় তার এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়।